ট্রাক ভাড়া না দিয়েই পালালেন ব্যবসায়ী, ফুলকপির দাম কম
বাজারে ফুলকপির দাম কম থাকায় ট্রাক ভাড়া না দিয়েই চার হাজার পিস ফুলকপি রেখে পালিয়ে গেছেন এক সবজি ব্যবসায়ী।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও এলাকার দুই ব্যবসায়ী চার হাজার পিস ফুলকপি কিনে ঢাকায় আড়তে বিক্রির জন্য নিতে ১৭ হাজার টাকায় একটি ট্রাক ভাড়া করেন। ট্রাকটি রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপাল্লাজায় পৌঁছালে সেখানে ওজন স্টেশনে ৪ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
পরে ট্রাকটি ১২টায় টাঙ্গাইল পৌঁছায়। আর ঢাকায় আড়তে সকাল ৭টা পর্যন্ত মালামাল বেচাকেনা হয়। তাই তারা ঢাকায় না গিয়ে টাঙ্গাইল পার্ক বাজারে ফুলকপি বিক্রির জন্য ট্রাকটি নিয়ে যায়। সেখানে কপির দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা ট্রাকবোঝাই ফুলকপি রেখে কৌশলে ট্রাকের ভাড়া না দিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর কোনো উপায় না পেয়ে ট্রাক চালক ও ট্রাকটির মালিক ফুলকপিগুলো নিয়ে জেলার বাসাইল হাটে উঠায়। সেখানে তারা ট্রাকের তেল খরচ উঠাতে প্রতি পিস কপি ৪টাকা করে বিক্রি শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অল্প কিছু ফুলকপি বিক্রি করেছিল। ট্রাক চালক তোফাজ্জল হোসেন ও ট্রাকের মালিক আজহার আলী জেলার বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে ফুলকপি ব্যবসায়ীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রাক চালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও এলাকার দুই ব্যবসায়ী চার হাজার ফুলকপি কিনেন। পরে কপিগুলো ঢাকায় নিতে আমাদের ট্রাকটি ১৭ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। ট্রাকটি বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজার স্কেলে ৪ ঘণ্টা আটকে ছিল। এজন্য টাঙ্গাইল পৌঁছাতেই দুপুর হয়ে যায়। ঢাকার আড়তগুলো ভোরে শুরু হয়। টাঙ্গাইলেই দুপুর হওয়ায় কপিগুলো টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে উঠানো হয়। সেখানে ন্যার্যমূল্য না পেয়ে ব্যবসায়ীরা ট্রাক ভাড়া না দিয়েই পালিয়ে যায়। তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি।’
ট্রাকের মালিক আজহার আলী বলেন, ‘ভাড়া না দিয়েই ব্যবসায়ীরা পালানোর পর কপিগুলো বাসাইল হাটে উঠানো হয়। পাঁচ পিস কপি ২০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এ পর্যন্ত অর্ধেকও কপি বিক্রি করতে পারিনি। ট্রাকের তেল খরচ উঠবে কিনা সেটাও জানি না।’
এদিকে বাসাইল হাটে গিয়ে দেখা যায়, দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা কেজিতে বিক্রি না করে চার-পাঁচ পিস ফুলকপি ২০ টাকা ধরে বিক্রি করছে। গত দুইদিন আগেও টাঙ্গাইলে ফুলকপির দাম ছিল বেশি। হঠাৎ করে ফুলকপির দাম কমে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এভাবে ফুলকপির দাম কমতে থাকলে কৃষকরা আবাদে আগ্রহ হারাবে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের।