অশনির প্রভাবে হঠাৎ বাড়ল ডিমের দাম
DESK NEWS 4TV রাজধানীর বাজারে বেড়ে গেছে ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা হয়েছে। অশনির প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে কমে গেছে ডিমের সরবরাহ। এতে ডিমের দাম বেড়ে গেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বাজার ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা। ডিমের দাম নিয়ে দোকানদারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন হানিফ হোসেন। তিনি বলেন, 'কোন জিনিসটার দাম কম। এভাবে কয়দিন চলবে। কিছু হলেই সরকার-ব্যবসায়ীরা যুদ্ধের দোহাই দিচ্ছে। ডিম তো আর রাশিয়া থেকে আসে না। ডিমের দাম এক লাফে ১০ টাকা কীভাবে বাড়ে।' আরেকজন ক্রেতা স্বপন সরকার বলেন, 'বাজার করতে আসলে দাম শুনে মাথা ঠান্ডা রাখা যাচ্ছে না। ৪-৫ দিন আগেও ১১০ টাকা ডজনে কেনা ডিম এখন ১২০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।' কেবল মুরগির ডিম নয়, বেড়ে গেছে হাঁসের ডিমের দামও। বাজারে হাঁসের একেকটি ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। প্রতি হালি ৬৫ টাকা আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। তথ্যমতে, দেশে প্রতিদিন মুরগি, হাঁস, কবুতর ও কোয়েলের প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। পৃথক হিসাবে, কেবল মুরগির ডিম উৎপাদন হয় সাড়ে তিন থেকে চার কোটি। হাঁসের ডিমের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। করোনার পর থেকে ডিম উৎপাদন অনেক কমেছে বলে দাবি খামারিদের। তারা বলছেন, করোনার সময় লোকসানে প্রচুর খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ডিমের দামবৃদ্ধি সম্পর্কে বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, দেশের খামারিরা চাহিদা অনুযায়ী ডিম উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু এ খাতটি নানা সংকটে ভুগছে। বর্তমানে করোনা এ খাতকে একেবারে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অনেক খামার বন্ধ। সে কারণে চাহিদা অনুয়ায়ী উৎপাদন হচ্ছে না। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ১২ শতাংশ দাম বেড়েছে ডিমের। বর্তমানে সর্বনিম্ন ১০৫ থেকে সর্বোচ্চ ১২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ডিমের ডজন।