চট্টগ্রামে ডক শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি ।
এম. রফিকুল ইসলাম(চট্টগ্রাম) Channel 4TV : চট্টগ্রাম বন্দর ডক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজি:২০০৮) এর উদ্দ্যোগে সংগঠনের দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে সংগঠনের সভাপতি ইসকান্দার ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে শ্রমিকদের দাবী আদায়ের জন্য প্রস্তুতিসভার আয়োজন করেন। উক্ত সভায় সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক, যুগ্ন সম্পাদক জসিম উদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দীক, নূর আলম, গোফরান, সিরাজ, দুলাল, ইব্রাহীম,উইন্সম্যান রহিম বক্তব্য রাখেন।।
বক্তরা তাদের আলোচনায় বলেন, ডক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাথে চুক্তিতে যে দাবী অসমাপ্ত হয়ে আছে তা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের সকল দাবী বাস্তবায়নের জন্য এক হয়ে আমরা কাজ করব। উপস্থিত বক্তারা বলেন ডক বন্দরে আওয়ামীলীগের ব্যানারে বিরোধী শক্তিরা ডুকে পড়েছে। বিরোধী শক্তিরা বিগত দিনে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদেরের বন্দর এলাকার ডান ও বাম হাত ছিলেন। এখন তারা নিজেদের বিগত দিনের মুখোশ ও ভোল পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগের ব্যানারে শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিকদের সাথে বিভিন্ন রকম অন্যায় ও অনিয়ম করে বেডাচ্ছে, এবং এদের পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরের কয়েকজন আওয়ামী নেতার ছবিও ব্যবহার করছে। কিন্তু বন্দর ডক শ্রমিকরা থাকতে এই বিরোধী শক্তিরা যত ষড়যন্ত্র করুক আমরা আমাদের নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সামনে রেখে আমাদের দাবী আদায়ের জন্য যে কোন আন্দোলনে মাঠে নামতে প্রস্তুত।
উইন্সম্যান রহিম তার বক্তব্যে উচ্চস্বরে বলেন, মাননীয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোন এক সভায় বক্তব্যে বলেন আওয়ামীলীগে কাউয়্যা ঢুকেছে, তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। সেই কথার মিলও রয়েছে। সেই সকল সুবিধা ভোগকারীরা এখন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারীলীগের ব্যানারে থেকে তাদের পেশী শক্তি ব্যবহার কওে সকল প্রকার অনিয়ম, অন্যায় কওে বেডাচ্ছে । উইন্সম্যান রহিম আরো বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে আমাদেরকে জাহাজে কর্মরত অবস্থান থেকে জোর পূর্বক কাজ থেকে নামিয়ে আনে এবং আমাদের অফিস থেকে কাজের পারিশ্রমিক নিয়ে আমি ও জসিম নিমতলা বিশ্বরোড় আসলে হুমায়ন, নাসির ও তাদেও কয়েকজন মিলে আমাদেও উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালায় এবং আমাদেও সাথে থাকা নগত অর্থগুলোও নিয়ে নেয়। তাৎক্ষনিক ডক শ্রমিক নেতা দুলালসহ ও পথচারীরা আমাদেরকে সন্ত্রাসী মহলের হাত থেকে কোন প্রকার উদ্ধার করে।উক্ত মারধরের বিষয়ে বন্দও থানায় অভিযোগ করতে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারীলীগের সভাপতি নওশাদ ও সাধারন সম্পাদক আলমগীর এবং বি এম এস শীপ হ্যান্ডেলিং এর চেয়ারম্যান রাসেল আমাদেরকে বন্দর থানায় অভিযোগ করতে বারন করেন এবং তিনি বলেন তোমাদরকে অভিযোগ করতে হবে না , আমি তোমাদের অভিযোগের ন্যায্য বিচারের ব্যবস্থা করব। কিন্তু পরবর্তিতে রাসেল সাহেবের সাথে বার বার যোগাযোগ করলেও আমাদেরকে কোন সহযোগীতা করে নাই। তাই আজ আমরা আমাদেও উপস্থিত নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়েছি যে, আমাদের মত দুরাবস্থা যেন অন্য কোন শ্রমিক ভাইদেরকে পড়তে না হয়। এবং এই সভাস্থল থেকে ঘোষনা করছি, আমরা আমাদেও ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনে যেতে সকলে প্রস্তুত রয়েছি।