দলের ভেতরে অনুপ্রবেশকারীদের এবার ফার্মের মুরগী বলে আখ্যায়িত করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের
আল-আমীন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের বলেন সিলেটে কাউয়া বলেছিলাম। এখানে কাউয়া বলবো না। তবে এখানেও মনে হয় ফার্মের মুরগী ঢুকে গেছে, দেশী মুরগী দরকার ফার্মের মুরগী নয়। ফার্মের মুরগী স্বাস্থ্যের পক্ষ্যে ভাল নয়।
বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে তারা ঈর্ষান্বিত হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই। মাথাব্যাথা হচ্ছে শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা নিয়ে। তিনি আরও বলেন
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় চলতে হবে। ১৯৭১ সালে মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের নাম করন করা হয়ে ছিলো বঙ্গবন্ধু তোমার নেতৃত্বে এই দেশে স্বাধীনতা হয়ে ছিলো তোমার জন্য। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ছিলো স্বাধীনতার জন্য , টুঙ্গি পাড়ার মা তোমায় জন্ম দিয়ে ছিলো বলে এই দেশে সুর্য্য উঠেছে । কে বলে তুমি নেই বাংলার আকাশে যতদিন পতাকা উড়বে ততদিন তোমার মৃত্যু নেই । বিএনপি জামায়াত আজ দেশে পেট্রল দিয়ে মানুষ হত্যা করছে । দেশে প্রেমের কথা বলে, স্বাধিনতার কথা বলে। অথচ এরাই মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে। এ দেশের সূর্য সন্তানদেরকে তারা হত্যা করেছিল, মা-বোনদের সভ্রম নষ্ট করেছিল এবং মুক্তিকামী মানুষের বাড়িঘর জ¦ালিয়ে দিয়েছিল। সোমবার মুজিবনগর দিবসে শেখ হাসিনা মঞ্চে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মুজিবনগর দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বক্তব্য আহবায়ক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তাঁর বক্তব্যেই বলেন,বিএনপির সাথে কোন আপোষ নয়। আ.লীগ জনগণের সাথে কাজ করতে চাই। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন,আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করবেন। জনগণ এ সব পছন্দ করে না।তিনি আরও বলেন
এই আ¤্রকাননে প্রথম সরকার শুধু শপথই গ্রহণ করেনি, সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়েছিল। এই স্বাধীনতার ঘোষণা হলো সংবিধানের মূল অধ্যায়। বাংলাদেশের সংবিধান ওই ঘোষণাপত্রের আলোকেই তৈরী করা হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে ছিল ১৯৭১সালে বন ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ,, যখন যুদ্ধুচলছিল তখন থেকে খুনি জিয়া যুদ্ধের বিরধীতা করে ছিলো জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না সে খুনি সে রাজাকারদের হাতে পতাকা দিয়েছিল । শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এদেশের মানুষকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছে। বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে দেশ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল সে সরকারগুলো বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে দুর্ণীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক। ও আব্দুর রহমান।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,আ.লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য খাইরুজ্জামান লিটন,আ.লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল ইসলাম,আ.লীগ নেতা এসএম কামাল আহমেদ,মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল,মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন,কুষ্টিয়া,মেহেরপুর.চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা ও উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ। এর আগে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শূভ সূচনা করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ । পরে সকাল ১০ টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরসহ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় নেতারা স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের ,জাতীয় পতাকা ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। । এসময় মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনছার ও ভিডিপি সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।
সবশেষে বিকেল ৫টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য শিল্পী মমতাজ বেগম ও বারী সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন শিল্পি সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।