লাকী আখান্দকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন দেশের সংগীত, নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষজন। এখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা লাকী আখান্দকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানান।
আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য লাকি আখান্দের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় আরমানিটোলা খেলার মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আগেই জানানো হয়েছে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে লাকী আখান্দের দ্বিতীয় জানাজা হবে। দুপুরেই লাকী আখান্দকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাকী আখান্দ মারা যান। দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে টানা আড়াই মাস তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বরেণ্য এ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। গত সপ্তাহে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে—‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কী করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।
লাকী আখান্দের সুর ও সংগীতায়োজনে উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হলো— ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ (কুমার বিশ্বজি), ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ (সামিনা চৌধুরী), ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কে বাঁশি বাজায়রে’ (হ্যাপী আখন্দ)।