রাজধানীও চলছে রমরমাট ব্যবসা
রবিউল ইসলাম ক্রাইম পেট্রোল বিডি ঢাকাঃ
রাজধানীর টঙ্গী, মহাখালী, সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর, জামগড়া, হেমায়েতপুরও গাবতলী এলাকায় অবসিত আবাসিক হোটেল গেষ্ট হাউজও বাসা বাড়ীতে দিনে-রাতে অবাদে নারীদেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য হিরোইন, ফেন্সিডিলও ইয়াবা ব্যবসা রমরমা ভাবে চললেও দেখার কেউ নেই।
গতকাল সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে স্থানীয় কয়েক জনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে টঙ্গী, মহাখালী, সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর, জামগড়া, হেমায়েতপুরও গাবতলী এলাকায় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলও বাসা বাড়ীতে দিনে রাতে চুটিয়ে নারী দেহ ব্যবসা করে আলাদিনের যাদুর চেরাগ পাওয়ারমত রাতা রাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল।
অনুসন্ধানে জানাযায়, টঙ্গী রেলষ্টেনের পার্শ্বে রয়েছে কমপক্ষে ১০/১২টি আবাসিক হোটেল ও গেষ্ট হাউজ। তার মধ্যে নিরালা গেষ্ট হাউজ, তৃপ্তি হোটেল, হাবিব গেষ্ট হাউজ, মোহাম্মদীয়া গেষ্ট হাউজ, টঙ্গী আবাসিক, হোটেল সজীব, হোটেল বিসমিল্লাহ, হোটেল তানিয়া, হেরেজ হোটেল ও ভাই ভাই হোটেল। এছাড়াও টঙ্গী বাজার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন জলি আবাসিক হোটেল, অনামিকা হোটেল, চ্যানেল হোটেল, মহাখালীল কাঁচাবাজারের অপর সাইটে অবস্থিত বৱু-বার্ড হোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে আবাসিক হোটেল নামের সাইন বোর্ড থাকলেও র্দীঘ দিন থেকে আবাসিক হোটেলের অন্তরালে সুন্দরী নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসাও পুরাদমে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও আবাসিক হোটেলের পাশা পাশি বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাসা বাড়ির ২/৩ তলা ভাড়া নিয়ে দেদারছে দেহ ব্যবসা করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা। এব্যাপারে টঙ্গী এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, টঙ্গীর দওপাড়া হাউজ বিল্ডিং ও আউচপাড়া এলাকায় মক্ষ্ণীরানী লতা ওরফে সুন্দরী মোটা লতা, কাজল, শিখা, মীম কেয়ার নেতৃত্বে ফ্ল্যাট বাড়িতে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গার্মেন্টসের সুন্দরী মেয়ে এবং উওরা থেকে নামীদামী কলগার্লসদের নিয়ে এসে অবাধে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী ব্যবসায়ী জানান, আমরা পেটের দায়ে এই ব্যবসা করছি। সামাজিক ভাবে এই অবৈধ ব্যবসা করা ঠিক নয়। অনেক দিন ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত বলে সেটি ছেড়ে দিতে পারছিনা। মাঝে মধ্যে পুলিশ, র্যা ব, ডিবি সহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঝামেলা করে। তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে অনেক সময় ম্যানেজ করতে হয়।
একটি সুত্র জানায়, অনেক সুন্দরী কলর্গালদের সাথে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে। যার
ফলে অনেক সুন্দরী কলর্গালসকে টঙ্গী থানা, উওরা থানায় ও ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। আবার কেউ ঝামেলায় পড়লে র্যা্ব ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্নীয় বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকে। নামীদামী কলর্গালদের মধ্যে- ঝুমা, সুমি, সালমা, আফরোজা, রুমানা, প্রেমা, জুই, মীম, মেঘলা, বিথী, লিলা, আশা, অগ্নি, সীমা, মুক্তা। আর এসব থানা পুলিশ কে মাসিক মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা দিয়ে হোটেল মালিকেরা চুটিয়ে ব্যবসা চালিয়ে জিরো থেকে হিরো হচ্ছে। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসনও মোজ ডুবে ভুরভোজ করছে। যার ফলে এসব এলাকায় দিন-দিন অবৈধ কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব হোটেল গুলোতে কোন রেজিষ্ট্রারের নিয়ম মানা হচ্ছে না। নাম মাত্র রেজিষ্ট্রার আছে তারও কোন কার্যকরীতা নেই। প্রতিটি হোটেল মালিকই স্কুল-কলেজের সুন্দরী মেয়েদের কে আড়ি-আড়ি টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের দেহকে পুঁজি করে ব্যাপক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে নষ্ট হচ্ছে কমলমতি মেয়েদের জীবন। অন্ধকারে ধাপিত হচ্ছে ঐসব কমলমতি মেয়েরা।
এব্যাপারে বিথী নামের এক দেহ ব্যবসায়ী মহিলা জানান, একটি পুরুষ কে ব্যবহার করলে বিনিময়ে পায় ১০০ টাকা। আর মালিক পায় ৫০০ টাকা। এতে সারাদিনে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন পুরুষ এর সঙ্গে মিলামেশা করতে হয়। তিনি আরো জানান, আবাসিক হোটেলে চলাচলরত কোন নারীই ব্বৈাহিক জীবনে যাবেনা। কেন যাই না এমন প্রশ্ন করলে। উত্তরে জানান, আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যুবক বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া ১৪/১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সঙ্গেও মেলামেশা করতে হয়। আর এসব আবাসিকে আসা প্রায় ছেলেরাই যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে কাম উত্তেজনা বোধ করছে। ফলে আমাদের শারিরিক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে সাভাবিক মেয়েদের চেয়ে তুলনা মূলক বেশি। তাই দিন দিন হারিয়ে ফেলছে আবাসিকে আসা মেয়েরা তাদের যৌন উত্তেজনা বোধ। তাই এপথে আসা কোন মেয়েই বৈবাহিক জীবনে যেতে চায় না। যদিও বা কেউ কেউ যাচ্ছে তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী সংসার ফাঁটা বেলুনের মত চুপসে যাচ্ছে। যার কারণে আবারো পূবেই পেশায় লিপ্ত হচ্ছে। বিশেষ করে এসব হোটেলগুলোতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বেশী আসে। আর এসবই চলছে খুদ পুলিশ প্রশাসনের মদদে যার ফলে এলাকার কোন সচেতন ব্যক্তি বর্গ প্রতিবাদ করেও তার সু-ফল পাচ্ছেনা। ফলে হোটেলগুলোতে উঠতি বয়সী স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা যৌন আচরনে লিপ্ত হওয়ার নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে। তাই এলাকার সচেতন মহল রব তুলেছে বেড়াই যদি বেগুন খায় করার উপাই কি? সাভার নিউ মাকের্টের সামনে এবং ওভার ব্রীজ এর উপরে রাত ১০টার পর থেকে ভ্রাম্যমান ২/৩ জন পতিতা প্রতিনিয়ত ওভার ব্রীজের উপরেই অবৈধ্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ব্রীজের নিচে হাইওয়ে পুলিশ টহলরত থাকছে। তবুও প্রতিকার করছে না ।
অন্যদিকে নবীনগর ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন, বাস ষ্ট্যান্ড, সাভার সেনা অডিটোরিয়াম সিনেমা হলের সামনে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমানও স্থানীয় ১০/১২ জন প্রতিতা তাদের খদ্দের সন্ধানে ঘুরে বেড়াই। এমনকি স্মৃতিসৌদ্ধ'র ভিতরেও তারা আনাগোনা করে।
এব্যাপারে জাতীয় স্মৃতিসৌদ্ধ পুলিশ ক্যাম্পের এক পুলিশ সদস্যের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, স্মৃতিসৌদ্ধ'র বাহিরে কি হচ্ছে তা আমার দেখার নেই। তা দেখবে থানা পুলিশ। তবে স্মৃতিসৌদ্ধ'র ভিতরে কোন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড কেউ যাতে করতে পারেনা সে ব্যাপারে আমাদের পুলিশও আনসার বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। এছাড়াও ধামরাই থানা রোডে লাইলী নামক এক মহিলার বাসায় ৪/৫ জন পতিতা তার আন্ডারে নিয়মিত দেহ ব্যবসা করছে। যার দরুন যুব সমাজ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে অপরাধ কর্মকান্ড । ফলে অভিবাবক মহল তাদের সন্তানদের জন্য তারা ভীষন উদ্বীগ্ন ও বিচলিত হয়ে উঠছে। পথভ্রষ্ট হচ্ছে তাদের সন্তানেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের মেধা, হারাচ্ছে তাদের নৈতিকতা। বিষয়টি উদ্ধর্তন প্রশাসনের নজরে নেওয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করছে।