ঝিনাইদহে নির্বাহী কর্মকর্তা কতৃক হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে টাকা আদায় ॥ স্বরবে চলছে লুটপাট !
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহ Channel 4TV :
ঝিনাইদহ গান্না বাজারের সাধারন ও পশুর হাট ইজারা বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ইজারা গ্রহীতা হাটের জায়গা বুঝে না পেয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় উপায়ন্ত না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে ১৪২১২ রিট পিটিশন করেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে টেন্ডারের মাধ্যমে এক বছরের জন্য ৪৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮শত এক টাকায় উচ্চ দরদাতা হিসাবে ইজারা পান ঝিনাইদহ শহরের ব্যবসায়ী আবিদুর রহমান লালু। ইাজারাদার ইজারা পাওয়ার পর হাটে গিয়ে দেখতে পান ৮৭নং গান্না মৌজার ১৫৪৬ ও ১৫৬৬ নং দাগের ৭৩ শতক জামিতে ২১টি দোকান, ১টি তিনতলা বাড়ি,১টি পুকুর,২টি হাটচান্দি ও একটি মাছের আড়ৎ রয়েছে এবং সেখানে কোন (গরু ও ছাগল) পশুর হাট বসে না। যে স্থানে পশুর হাটটি বসে সরকারি হাটের জায়গা থেকে আধা কিলোমিটার দুরে এবং ১৭৪ শতক জমির উপর। ওই জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন।
যার হালদাগ নং-১৪০৪,১৭০৭,১৭১৩,১৭১০,১৭০০,১৫৭৬ ও ১৭১১ এবং গান্না এলাকার মালিক সামছুর রহমান, আম্বিয়া খাতুন, সজীব ও মঞ্জুরা খাতুন। এরপর ইজারাদার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে আবেদন করেন হাটের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে হাট ইজারার জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর হাটের ইজারা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। উপায়ন্ত না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোর্ট ৩সপ্তহের মধ্যে ইজারাদারকে হাট বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাট বুঝে না দিয়ে টেন্ডার আহবান করেন। ইজারাদার ফের বিষয়টি হাইকোর্ট একটি রীট পিটিশন দায়ের করলে কোর্ট টেন্ডার আহবান না করার জন্য ১মাসের স্থগিত আদেশ দেন।
এরপরও উপজেলা প্রশাসন কোন নড়াচড়া না করায় হাটকোর্ট ১মাসের স্থগিত আরো ৬মাস বাড়িয়ে দেন। এই নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি এক স্মারকের মাধ্যমে খাস আদায়ের নির্দেশ দেন। একারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসে একাধিক ব্যক্তির আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই সাথে খাস আদায়কৃত টাকা নামেমাত্র সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বাকি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যখন টেন্ডার চুক্তিনামা হয় তখনই হাট বুঝে দেওয়া নহয়। এখানে মামলা থাক আর যায় থাক। হাট ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমি খাস আদায়ের নির্দেশ দিয়েছি এবং বিধি অনুযায়ী খাস করা হচ্ছে। এখানে লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটছে না।