শৈলকুপায় শিক্ষিকাকে পেটালেন শিক্ষক,পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহ Channel 4TV :
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক শিক্ষিকাকে শিক্ষক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১২ এপ্রিল সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালাপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল লতিফ শিক্ষিকা লাবনী নাজনীনকে হাতপাখা দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরদিন শিক্ষিকা লাবনী নাজনীন শৈলকুপা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত আব্দুল ললিফের পক্ষে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইনসার উদ্দিন শিক্ষিকা লাবনী নাজনীনের বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাল্টা লিখিত অভিযোগ দেন।
লাঞ্ছিত শিক্ষিকা লাবনী নাজনীন জানান, বিদ্যালয় সংলগ্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্তব্যরত ইব্রাহীম প্রায়ই স্কুল চলাকালীন সময়ে অফিস রুমে ঢুকে চেয়ার আটকে বসে আড্ডা দেয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হয়। তিনি প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল লতিফ তাকে গালিগালাজ করে ও হাতপাখা দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, শিক্ষিকা লাবনী নাজনীন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তিনি শিক্ষিকাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
প্রধান শিক্ষক আলফাজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও শিক্ষিকা লাবনী নাজনীন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। ইতিপূর্বে তাদের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইনসার উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শিক্ষিকা লাবনী নাজনীন হাতপাখা নিয়ে শিক্ষক আব্দুল লতিফের দিকে ছুটে যান। এ ঘটনায় তিনি লাবনী নাজনীনের বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদুল ইসলাম জানান, বালাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষিকা লাঞ্ছিতর ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এসেছে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ দুটি তদন্তাধীন আছে।