গাংনীতে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় শত শত বিঘা আবাদি জমির ফসল পানির নিচে
আল-আমীন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার Channel 4TV : মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চিৎলা নিতান্দনপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নালুয়ার খালে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও মাছ চাষ করায় শত শত বিঘা আবাদি জমির ফসল পানির নিচে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে চিৎলা গ্রামের প্রায় ২শ” চাষি উক্ত খালের উপর নির্মিত বাঁধ ভাঙ্গিয়া দেওয়ার জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৩ শ”চাষির স্বাক্ষরীত অভিযোগ পত্র দখিল করে। স্থানীয় চিৎলা গ্রামের ধান চাষি মকছেদ আলী জানান, চিৎলা গ্রামের মৃত আলিমদ্দীনের ছেলে ,মহিদুল ইসলাম উক্ত নালুয়ার খালে মাটির বাঁধ দিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ চাষ করিতেছে । উক্ত বাঁধের কারনে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করিয়া আমাদের আবাদি জমি অনাবাদি হইয়া পরিয়াছে। আমাদের আবাদি জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে আছে । আমরা গরিব চাষীগণ প্রতিপক্ষ মহিদুল ইসলামকে বাঁধ ভাঙ্গিয়া দেওয়ার কথা বলিলে আজকাল করিয়া ঘুরাইয়া লইয়া বেড়াইতেছে।এক্ষনে আমরা গরীব চাষীগন আমাদের জমি চাষ আবাদ করিতে না পারায় আমরা পরিবার পরিজন লইয়া অনাহারে অর্দ্ধহারে ও কষ্টের মধ্যো দিন যাপন করিতেছি । আমাদের নিজেস্ব জমি থাকা স্বত্তেও জলবদ্দতার কারনে আবাদ করতে পারছিনা। চিৎলা গ্রামের চাষী লাল মোহাদ জানান, নালুয়ার খালে মাটির বাঁধ দিয়া জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করিয়া আবাদ এর বিঘœ করছে এবং জমির ফসল পানির নিচে থাকায় ফসল কাটতে পারছিনা। মহিদুলে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কমনা করছেন এলকা বাসি। এব্যপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস, এম, ,জামাল আহমেদ জানান,আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বায়িত্ব নিয়েছে সরজমিনে তদন্ত পৃর্বক কালকের মধ্যে দুপক্ষের সাথে বসে সু-ব্যবস্থা গ্রহন করবে । তিনি আরও বলেন , যদি কালকের মধ্যে সমাধান না হয় পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।