বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ডুবে গেছে ফসল, বিপাকে কৃষক
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে শরীয়তপুরে ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় তলিয়ে যাওয়া হাওরের ধান পচন ধরায় কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। অন্যদিকে, নাটোরের চলনবিলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
নাটোর: নাটোরের সিংড়া উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। গত দুই দিনে অসময়ের এ বন্যায় চলনবিলে ২ হাজার ৭শ' হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। অনেকটা বাধ্য হয়ে আধপাকা ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা।
লক্ষ্মীপুর: গত ১৯ এপ্রিল থেকে টানা বর্ষণে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর ও রায়পুরসহ পাঁচটি উপজেলার প্রায় পঞ্চাশ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন ধরণের সবজি, বাদাম, মরিচ ও ডাল জাতিয় ফসলে পচন ধরায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।'
নেত্রকোনা: নেত্রকোয়ও বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় এ বছর এক লাখ ৮৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এরমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে তলিয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ ফসলী জমি। নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জসহ ৬ উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল এখন পানির নীচে। বিভিন্ন সবজিসহ ধান ও পাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এরমধ্যে ১৫ হাজার হেক্টর জমির পাট সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ১২ হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পচন ধরায় হাওর থেকে কাচা ও আধা পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।