সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র জামিল হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জে বিশাল মানববন্ধন
ছনি চৌধুরী,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি Channel 4TV :
সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র জামিল আহমদকে তার ঘরে ডুকে তার মা-বাবা ও ভাই-বোনের সামনে নিমর্মভাবে হত্যা করে একদল মুখোশপড়া খুনিরা। এ হত্যাকান্ডের একমাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ঘাতককে গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে পূর্ব ঘোর্ষিত অনুযায়ী মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শনিবার সকাল ১০ঘটিকার সময় নিহত জামিলের বাড়ি মংলাপুর সহ আশপাশ এলাকাবাসীর উদ্যোগে ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার মডেলবাজার দল বেধেঁ বেধেঁ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন নিহত কলেজ ছাত্র জামিলের ছবি সম্ভলিত লিপলেট, পেষ্টুন ও ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। মহা সড়কের মডেলবাজার থেকে বিশাল মানবন্ধন নিয়ে সৈয়দপুর বাজার হয়ে আউশকান্দি- হীরাগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিন করে ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্তরে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। উক্ত প্রতিবাদ সভায় মডেল বাজার আলহেরা হাফিজিয়া মাদ্রাসা সহ সভাপতি হাজী আব্দুর রব এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মশাহিদ আহমদ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবীগঞ্জ- বাহুবল আসনের মাঠি ও মানুষের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া। এতে বক্তব্য রাখেন, আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের হাজী মহিবুর রহমান হারুন, মৌলভীবাবজার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নিহত জামিল আহমদের মামা নাজমুল হক, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু, বৈঠাখাল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম, নিহত জামিল আহমদের পিতা মাওলানা মোস্তফা আহমদ, প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য সাহেল আহমদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নিহত জামিলের বোন জামাই শাহ শাহজন মিয়া, যুুক্তরাজ্য ওল্ডহাম শাখা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মেধাবী কলেজ ছাত্র জামিল যেভাবে নিশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এটা খুব হৃদয় বিধারক একটি ঘটনা। এভাবে যেন আর কোন পিতা- মাতার বুক খালি না হয়। এক মাস হয়ে গেল এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রশাসন যদি সঠিক বিচার না করেন তাহলে এরকম ঘটনা নবীগঞ্জ তথ্যা আউশকান্দি ইউনিয়নের আরো অহরহ ঘটতে থাকবে। তাই অচিরেই খুনিদের খুজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। অন্যতায় দূর্বার আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন প্রতিবাদকারীরা।
উলে¬খ্য, গত ১লা এপ্রিল শুক্রবার গভীর রাতে একদল অস্ত্রধারী দূর্বৃত্ত মাওলানা মোস্তফা আহমদ এর পাকা দালান বাাড়ির কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার শয়ন কক্ষে ডুকে এলোপাতারি হামলা করে এ সময় তার স্ত্রী সালেহা আক্তার হাউমাউ করে চিৎকার দিলে পাশের রোমে ঘুমিয়ে থাকা তার পুত্র সিলেট লিডিং ইউনির্ভাসিটির অর্নাস ২য় বর্ষের ছাত্র জামিল আহমদ (২৫), সৈয়দপুর মাদ্রাসার আলীমে অধ্যায়নরত মওদুদ আহমদ (২০), আউশকান্দি দি লিটল ফ্লাওয়ার জুনিয়র হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র মাসুদ আহমদ (১৪) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও অস্ত্র দিয়ে বেধরক কুপিয়ে আহত করে তাদের বাবাকে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে অর্ধয্য হয়ে বাবাকে রক্ষা করতে দূর্বৃত্তদের সাথে পাল্টা পাল্টি আক্রমন চলে জামিলের। এতে সংঘবদ্ব অস্ত্রধারীরা ক্ষীপ্ত হয়ে এলোপাতারি ভাবে তাদের কুপাতে তাকে। প্রায় ৩০মিনিট সময় চলে দূর্বৃত্তদের সাতে তাদের তিন ভাইয়ের পাল্টা পাল্টি হামলা। এক পর্যায়ে জামিল মুখোশপড়া দূর্বৃত্তদের মূখোশ টান মেরে খুলে ফেলায় জামিলকে তাদের বাড়ির উটানে নিয়ে বেধরক মারপিট করে। এতে তারা ৩ সহোদর গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটি পড়ে। এর পর জামিলকে মৃত ভেবে দূর্বৃত্তরা চলে যায়। তার মা ও বোনের আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্বার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিল আহমদকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহত ২ সহোদর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। এর পর ঘাতকদের গ্রেফতারের জন্য নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসী ফুসে ওঠেছেন।