নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহার করে গাংনীর ভোমরদহ- জোড়পুকুরিয়া রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে
এম এ লিংকন ,মেহেরপুর প্রতিনিধি Channel 4TV :
নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় গাংনীর ভোমরদহ- জোড়পুকুরিয়া রাস্তার সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ওই এলাকার জনগন। রোববার সকালে উপসহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করতে বলায় পেশী শক্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতার বড়াই করলে স্থানীয় লোকজন কাজ বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা গেছে, এলজিইডির নিজস্ব অর্থায়নে ভোমরদহ- জোড়পুকুরিয়া ও জোড়পুকুরিয়া- সহড়াবাড়িয়া সড়কের ৭ কিলোমিটার সংস্কার কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার এহসানুল হক ট্রেডার্স। ওই কাজ কিনে নেন গাংনীর বালিয়াঘাট গ্রামের ঠিকাদার পিন্টু মিয়া। কাজটির ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ২৪ লাখ টাকা। রাস্তা ৩ মিটার চওড়া ও ১২ মি.মি কার্পেটিং করার চুক্তি রয়েছে।
সাহারবাটি ইউপি মেম্বর ও জোড়পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাহাবদ্দীন জানান, কাজের শুরু থেকেই নি¤œ মানের ইট ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। বিষয়টি উপজেলা এলজিইডি এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেরপুর বরাবর জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমতি দেয়। নিয়মানুযায়ি রাস্তায় প্রাইম কোড দিয়ে কার্পেটিং করতে হবে। অথচ কোন প্রাইম কোড ব্যবহার করা হয়নি। আবার ঠিকমতো রোলিং করা হচ্ছে না। যে অংশে কার্পেটিং করা হয়েছে সে অংশের কার্পেটিং ভ্যানের চাকার সামান্য চাপেই উঠে যাচ্ছে। ১২ মিলি কার্পেটিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে ৭ মিলি মিটার।
বিষয়টি ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলীকে বলা হলে কোন কর্ণপাত না করেই রাজনৈতিক ও পেশী শক্তির বড়াই করেন। এমনকি রাস্তায় চাঁদা চাওয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ করার হুমকী দেন। এতে এলাকাবাসি রাগান্বিত হয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে ঠিকমতো রোলিং করা হয়নি এবং কোন প্রাইম কোড দেয়া হয় নি। ধুলা বালির উপর কার্পেটিং করা হয়েছে।
ঠিকাদার পিন্টু মিয়া জানান, নিয়মানুযায়ি কাজ করা হচ্ছে। ৪৮ ঘন্টা আগে প্রাইম কোড দেয়া হয়েছে। রোদের তাপে তা শুকিয়ে ও উড়ে গেছে। রাজনৈতিক ও পেশী শক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি কোন জবাব দেননি।
উপসহকারী প্রকৌশলী তৌহিদ জানান, তিনি একাধিক জায়গায় কাজ দেখা শোনা করছেন ফলে কাজে ত্রুটি হতে পারে। প্রাইম কোড না দেয়ার ব্যাপারে তিনি জবাব না দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
উপজেলা প্রকৌশলী(ভারপ্রাপ্ত) শামসুল আলম জানান, তিনি রাস্তার কাজ বন্ধের ব্যাপারে শুনেছেন। তার কিছুই করার নেই বলে জানান।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম জামাল আহমেদ জানান, তিনি কিছুই জানেন না। তাছাড়া প্রকৌশলী অফিস থেকে কিছুই জানানো হয়নি। বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান তিনি।