‘আমাকে হারানোর জন্য একটা ছবির বাজেট ব্যয় করা হয়েছে!’
ওমর সানি। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়ক। জড়িত হয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে। বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন। সামাজিক বিভিন্ন কর্মাকান্ডের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গতকাল রোববার বিকালে তিনি অসামঞ্জস্য ফলাফল ও কারচুপির অভিযোগ এনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডে আবেদন করেছেন। আজ সোমবার সকালে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
কেমন আছেন?
আছি আর কি!
আপনার কণ্ঠে হতাশার সুর!
খুশি হওয়ার মতো কোনো কারণ আছে? গত কয়েকদিন আমাকে নিয়ে যা হয়েছে, এর পরও আমি যে স্বাভাবিক আছি, এটাই কি যথেষ্ট না!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ। সামনে কী করবেন, কিছু ভেবেছেন?
কী করতে বলেন! আমি তো আমার মতোই চলেছি। সামনের দিনগুলোতে সবাইকে নিয়ে চলতে চেয়েছি। সবার জন্য ভালো কিছু করতে চেয়েছি।
আমি বলতে চাচ্ছি, চলচ্চিত্রের কোনো কাজ করবেন?
আমার জীবনটাই তো একটা ফিল্ম! প্রেক্ষাগৃহে বসে দর্শক বড় পর্দায় যা যা দেখেন, আমার জীবনটাও সেরকমই, একেবারে চলচ্চিত্রের একটা গল্প।
নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না কেন?
কীভাবে মেনে নেব? মেনে নেওয়ার মতো কেউ কোনো কাজ করেছে? আপনি জানেন, আমাকে হারানোর জন্য একটা ছবির বাজেট ব্যয় করা হয়েছে!
কী বলছেন?
যা বলছি, তা চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি।
মারাত্মক অভিযোগ করছেন। আপনার কাছে কোনো প্রমাণ আছে?
প্রমাণ থাকলে তো আমি আদালতেই চলে যেতাম। এসব কাজের কোনো প্রমাণ থাকে না।
আপনার এমন অভিযোগ শিল্পীদের অসম্মান করা হচ্ছে।
আমি শিল্পীদের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হইনি। আমি দেখেছি, বেশির ভাগ শিল্পী আমাকে কতটা ভালোবাসেন। আমি পরাজিত হয়েছি টাকার কাছে। যাক, এসব নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। তাহলে অনেকেই বলবেন, যেহেতু হেরে গেছি, তাই এসব বলছি।
যিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, মিশা সওদাগর; তার সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে?
কথা হয়নি। কিন্তু আমি কী বলতে চাচ্ছি, বলছি—তা কিন্তু মিশা সওদাগর বেশ বুঝতে পারছেন।
যারা জানেন, তারা কেউ মুখ খুলছেন না কেন?
এখন কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু আপনি যান, ইন্ড্রাষ্ট্রির সবার সঙ্গে কথা বলেন। আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন। আমাকে হারানোর জন্য কী নীল নকশা করা হয়েছিল, সব।
আপনি তো আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন।
দেখুন, যারা নির্বাচন কমিশনে ছিলেন, তারও আমার পরিবার; আর যারা আপিল বোর্ডে আছেন, তারাও আমার পরিবার। আমি আমার পরিবারের মানুষগুলোর কাছেই বিচার চেয়েছি।
ভোট গণনার পুরোটা সময় আপনার স্ত্রী মৌসুমী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকই বলেছেন। কিন্তু ওই ঘরের বাইরে যে খেলা হয়েছে, সেখানে তো আমরা কেউ ছিলাম না।
নির্বাচন করতে গিয়ে তো অনেক অভিজ্ঞতা হলো। আপনার পরামর্শ কী?
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ঢেলে সাজাতে হবে। সামনে শিল্পীদের জন্য আমার কাজ অব্যাহত থাকবে। আমি শিল্পীদের পাশেই আছি, থাকব। আর নির্বাচন পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়ারও সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো নিয়ে কথা বলব।
আবার কাজের আলাপ।
হ্যাঁ, অবশ্যই কাজ শুরু করব। আমার এবং মৌসুমীর ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেল। এখন একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। শিগগিরই আমরা আলোচনা করে কাজ শুরু করব।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।