আসুন আমরা সবাই ইয়াবার ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষা করি।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: মোঃ মোছাব্বের হোসেন (শান্ত)Channel 4TV : ইয়াবা এমন এক সর্বনাশা মাদক, যা নেশা গ্রস্থ তরুন-তরুণীদের হিতাহিত জ্ঞান শূন্য করে দেয়। সারা দেশে যেভাবে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে শুধু অভিভাবকই নয়, সচেতন প্রতিটি মানুষই দুর্চিন্তা গ্রস্থ। নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য এরা পারেনা এমন কোন কাজ নেই। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনার কিছু বিবরণ। পুলিশ ও পুলিশ দম্পতিকে নৃশ্বাংশভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে নিজের মেয়ের হাতে। ময়মনসিংহের ছেলের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। নেশা গ্রস্থ ছেলে-মেয়েরা এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়ে থাকে প্রতিনিয়ত। দেশের অপরাধ বিশেজ্ঞরা মনেকরেন ইয়াবা সহ সব মাদকের ছড়া ছড়ি কমানো গেলেই সমাজকে গ্রাস করা অপরাধ মুলক কাজ কমে যাবে। অথচ এই ইয়াবা ব্যবসার সংগে জড়িয়ে রয়েছেন সমাজের অনেক নামি-দামী মানুষ। এমনকি এ সব অপরাধ দমনে দায়িত্বে যারা নিয়জিত, পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে আছে। গত কালের কালের কন্ঠো পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানায় যায় গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রি সভার বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা ও পাশাপাশি অনেক তর্কবিতর্কের ঘটনাও ঘটেছে। ইয়াবা চোরা চালানে প্রভাবশালীর রাজনীতি করা অনেক ব্যক্তি পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কিছু অসাধু কর্মকর্তারাও থাকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। একটি বাহিনীর কর্মকর্তা তার প্রতিবাত করেন এবং তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৈরি করা একটি তালিকা তুলেধরা হয়। সেই তালিকায় পুলিশ বাহিনীর কারা কারা জড়িত তাদের নাম রয়েছে। বিভিন্ন সময় প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা সহ লোক ধরাপড়লে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার নাম সেখানে উঠে আসে। উল্লেখ্য করা হয়েছে সেখানে তর্কবির্ত থেকে যায় এবং মন্ত্রী সভায় সিদ্ধান্ত হয় গড ফাদারা যে রাজনৈতিক দলেও হোক বা যে বাহিনীরি হোক বা যত শক্তিশালী ব্যক্তিরই হোক তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। এ সমাজ ও দেশকে বাসযোগ্য করার স্বার্থে ইয়াবা সহ সব ধরনের মাদক দ্রব্য চোরাচালান কঠোর হাতে দমন করতে হবে এদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ্য আন্তরিকতার পরিচয় দিবেন এমনটাই আশা করছি আমরা দেশ বাসী।