তাহিরপুর উপজেলার ফাটা কেষ্ট কামরুল
তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের হাওর বেষ্টিত,যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবহেলিত এক জনপদের নাম তাহিরপুর উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে এক অপতিরোধ নাম যিনি কিনা পতিটি অন্যায় ও দূর্যোগের সময় ফাঁটা কেষ্টর মত হাজির হয়ে যায়। যিনি সকল প্রতিকুলতা পায়ে ঠেলে সবাই কে সাথে নিয়ে শুরু করেন সব কঠিন কাজ। তিনি আর কেউ নন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কারুজ্জামান কামরুল। কিন্তু তার কাজের মধ্যে পাওয়া যায় না চেয়ারম্যান হওয়ায় কোন ধাম্ভিকতা। যেখানে প্রতিনিয়ত দুঃখ,কষ্ট,অভাব ও অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয় হাওরবাসীকে। কখনো কাল বৈশাখী ঝড়,তুফান,কখনো পাহাড়ী ঢলে কষ্টের ফলানো এক ফসলী বোরো ধান সহ সব কিছু ভাসিয়ে নিমিশের মধ্যেই শেষ করে দেয় সকল স্বপ্ন। তবুও শত কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবনের কঠিন মুর্হুত গুলো পার করে সুবিধা বঞ্চিত এ উপজেলার সাড়ে ৩লক্ষাধিক জনসাধরন। আর এই অবহেলিত হাওর বাসীর পাশে যিনি ছায়ার মত পাশে থেকে সব সময় সকল প্রতিকুলতা পায়ে ঠেলে হাওরবাসীর জন্য নিজেকে বিলীয়ে দেন,সকল শ্রেনী ও বর্নের মানুষের সুখে,দুঃখে পাশে থাকেন,সকল বয়সের নারী,পুরুষের কাছে প্রিয় সেই তাহিরপুরের হাওরবাসীর ফাঁটা কেষ্ট কামরুজ্জামান কামরুল। নিজের কর্মের জন্য শুধু তাহিরপুর উপজেলায় নয় সুনামগঞ্জ জেলা ও সিলেট বিভাগেও এক নামেই সবাই চেনে কৃষকের ছেলে কামরুল বলেই। কৃষকের ছেলে বলেই হাওরবাসীর প্রতি রয়েছে তার অগাত বিশ্বাস ও ভালবাসা রয়েছে এলাকার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নগরী হিসাবে গড়ে তুলার কামনা ভাসনা। অনেক মুরব্বিরাই থাকে চেয়ারম্যান সাব বললেও বেশির ভাগ লোক থাকে কামরুল ভাই বলেই সম্ভোধন করে। এতে তিনি মনোক্ষন্ন নন বরং আনন্দ পান। তিনি যেখানে যান সেখানেই যেন সাধারণ মানুষের জন¯্রােতে পরিনত হয়। যার জন্য তিনি তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এই মহান দায়িত্ব পাওয়ার পর মন মানুষিকতার পরির্তন গঠে নি রেখেছেন সব সময়কার মতই। মানের মাঝে নেই কোন প্রতিহিংসা পরায়নতা আছে পরোপকারী মনোভাব। যেখানে কোন মানুষ যেতে চান না বা কেই কোন বিপদে পরেছে কেই বলুক আর না বলুক কানে পৌছা মতই তিনি সেখানেই ছুটে গেছেন তার একান্ত পরম বন্ধু মেহেদী হাসান উজ্জ¦ল সহ সকল সহযোগীদের নিয়ে উদ্ধার করতে। প্রতি বছরের মত এবারও উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ঝুঁিকপূর্ন বাঁধ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন নিজ দায়িত্বেই। এবার তাহিরপুর উপজেলার প্রতিটি হাওরের বাঁধ ঝুকিঁপূর্ন হলে তার পদচারনায় আনন্দের সাথে প্রতিটি বাঁধে কাজ করেছে সেচ্ছা শ্রমে সকল কৃষক সহ সর্ব স্থরের জনসাধারণ। হাওরের প্রতিটি বাঁধে তিনি নিজে মাটি কেটে মাথায় তুলে নিয়েছেন। তার এমন কর্ম দেখে সবাই অনুপ্রেরনা ও সাহস পেয়েছে,পেয়েছে কাজে গতি আনন্দের সাথে। হাওর পাড়ের সকল স্থরের লোকজন জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুলের মত সব দলের নেতাকর্মীরা যদি নিজ নিজ অবস্থা থেকে এলাকার জন্য কাজ করলে এলাকার উন্নয়ন অনেক হতো। হাওরের বাঁধে দূনীর্তি হতো না একের পর এক হাওর এভাবে ডুবত না ঘটত না এমন করুন পরিনতি। কামরুল যত টুকু পাড়ে নিজের হাতেই আমাদের জন্য করে আমাদের কে কাজে উৎসাহ যুগিয়েছে। গত বছর যেমন নিজ দায়িত্বে হাওর রক্ষা বাঁধ ঠিকিয়ে রাখার জন্য দিন রাত আক্রান্ত পরিশ্রম করেছেন এবারও হাওর রক্ষা বাঁধে যে পরিশ্রম করেছেন তা বলা বাহুল্য। একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাধরন শ্রমিকের মত মাটি কেটেছেন,নৌকায় করে আনা বালু নিজেই সবাইকে নিয়ে বস্তায় ভড়ে দিয়েছেন। তার প্রতিটি কাজই তাকে স্বরনীয় করে রাখবে তাকে হাওরবাসীর ফাটা কেষ্টই বলা যায়।