বহু পাপের সমষ্টি একটি ধর্ষণ
বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধষর্ণের ঘটনায় মামলার পর থেকে একের পর এক তথ্য বের হয়ে আসছে। আসামি সাফাত, সাদমান ও নাঈম আশরাফ গ্রেফতার এবং রিমান্ডের পর তাদের পারিবারিক বহু পাপ দেশের জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়েছে। তাই একটি ধর্ষণকে বহু পাপের সমষ্টি বলে আখ্যায়িত করেছেন গণমাধ্যম ও উন্নয়ন সাংবাদিক আদিত্য শাহীন।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন: ‘বোঝা গেল, একটি ধর্ষণ বহু পাপের সমষ্টি। এর পেছনে লুটতরাজ, চুরি, মিথ্যাচার, প্রতারণা আর ভুরি ভুরি ক্ষমতার অপব্যবহার আছে। ক্ষমতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে যারা বেড়ে ওঠে তাদেরই শাখা প্রশাখা লুটেরা ও ধর্ষক হয়ে ওঠে।
বিএইচ হারুনের মতো, দিলদারের মতো মানুষ এদেশে অসংখ্য। যারা রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়েছে। যারা ক্ষমতার ছায়ায় থাকে। যারা ধর্মের কথা বলে, সমাজ গড়ার কথা বলে, দেশকে পাল্টে দেয়ার কথা বলে।
আমরা ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হোক অবৈধ সম্পদের মালিকদের সমাধির ওপর। সরকারের উচিত একটি সুন্দর আগামী রচনার জন্য বনানী ধর্ষণকে কেন্দ্র করে কেঁচো খুড়তে যে সাপ বেরোচ্ছে, সকল ক্ষেত্রের সেই সাপ খুঁজে বের করা। এরা যুদ্ধাপরাধী বা বঙ্গবন্ধুর খুনীর চেয়েও ভয়ঙ্কর। এরা জঙ্গির চেয়েও সাংঘাতিক। এসব খুঁজতে গিয়ে সরকারের অনেক নড়বড়ে নাটবল্টু বেরুবে, মুখোশধারী দুর্বৃত্ত বেরোবে, নীতিহীন বুদ্ধিজীবীও বেরোবে। তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ুক।
সত্য যত দ্রুত বিকশিত হবে, সমাজ তত দ্রুত উন্নত হবে। আর্থিক দারিদ্র সমাজের জন্য খারাপ না, কিন্তু চেতনার দারিদ্র তো ভয়ঙ্কর, নীতির দারিদ্র তো সমাজঘাতি ক্যান্সার।’