গরমে রাস্তার শরবত থেকে সাবধান!
রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি Channel 4TV :প্রচণ্ড তাপদাহে হাঁস-ফাঁস অবস্থা এখন সারা দেশের মানুষের। এক পশলা বৃষ্টির পরশ পেতে প্রকৃতি যেন মুখিয়েরয়েছে। দিনের শুরু থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সূর্যের পারদ বাড়ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস এক্ষেত্রে একেবারেই হতাশাজনক খবর জানাচ্ছে। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপে আরো কয়েকদিন পুড়তে হবে দেশবাসীকে। গ্রীষ্মের দাবদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত। গরমে আরাম পেতে রাস্তার পাশের শরবতের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে পথচারী। গলা ভেজাতে নিশ্চিন্তে ঠান্ডা পানীতে চুমুক দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।গরমে ঢাকাসহ দেশবাসীর কর্মজীবী মানুষের বিধিবাম! ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সঠিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি হওয়া জরুরি। চলতি পথে গরমে আরাম পেতে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে নানাস্বাদের শরবত ও পানীয়। কিন্তু রাস্তায় তৈরি এই শরবতের বিশুদ্ধতা নিয়ে রয়েছে নানামত। শরবতগুলো পানে সাময়িক স্বস্থিপেলেও রয়েছে এর ক্ষতিকর অনেক দিক। জন্ডিস, আমাশয়সহ মারাত্বক রোগের হুমকি রয়েছে।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফুটপাতের বানানো এই শরবত পানে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। রাস্তার শরবত নামীয় পানি পান করলে কিডনি বিকল, পানিবাহিত রোগ, গ্যাস্ট্রিক, হেপাটাইটিস বি-ভাইরাস, লিভারের জটিলতা, পাকস্থলীতে প্রদাহ, খাদ্যনালিতেসমস্যা, পেপটিক আলসারসহ মারাত্মক জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।মুন্সীগঞ্জ সহ সারা দেশেই খোলা ভ্যান গাড়িতে শরবত বিক্রি করতে দেখা যায়। এক গ্লাস শরবতের দাম মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকা। তৃষ্ণার্ত পথচারীরা গোগ্রাসে সেসব গিলছে।এছাড়াও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্র করা হচ্ছে আখের রস। সব আখের মেশিনের ওপরই রাখা হয়েছে বড় একটি বরফ খণ্ড। বরফ খণ্ড খোলা থাকায় তার উপর ধুলা জমছে । সেটি না ধুয়ে আখ ভাঙানো হচ্ছে। বরফ থেকে সৃষ্ট ঠান্ডা পানি আখের রসের সঙ্গে মিশছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব শরবতে বরফের সাথে চিনির নামে নিষিদ্ধ কেমিকেল, স্যাকারিন এবং ফিল্টার পানির পরিবর্তে ট্যাপের পানি শরবত তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রস খেয়ে অনেকেই নানা রকম অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে।তৃষ্ণা মেটানোর শরবতে ব্যবহৃত বরফ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বরাবর। কেউ দাবি করছে শরবতে ব্যবহৃত বরফগুলো মাছের জন্য প্রযোজ্য। আবার কেউ বলছে শরবতে মাছের বররফ নয়। মর্গে ব্যবহৃত বরফ শরবতেব্যবহার হচ্ছে। প্রাণ জুড়ানে শরবত যে বরফ ব্যবহার হচ্ছে সেটিকি আধোও পরিষ্কার জীবানুমুক্ত পানি দিয়ে বানানো?নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরফ কারখানার এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা মাছে ব্যবহারের জন্য এই বরফ তৈরি করি। তাই সরাসরি পুকুর বা অপরিচ্ছন্ন পানি দিলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে যারা কিনছে, তারা যদি এসব বরফ পানীয় তৈরিতে ব্যবহার করে, তাহলে আমাদের দোষ কোথায়?