দেশের আউটসোর্সিংএ সাফল্যের গল্পটা পাঁচ বছরের কিছু বেশি। শুরুতে দেশজুড়ে শতিনেক পুরুষ অংশ নিলেও পরবর্তিতে সংখ্যাটি বেড়েছে জ্যামিতিকহারে। কাজ অনুসারে ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নারীদের অংশ রয়েছে এখাতে। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রশিক্ষন নিয়ে নারীদের উদ্যোক্তায় পরিনত হওয়ার ঘটনাও নতুন নয়।
এখাতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন নারীদের অংশগ্রহন বাড়ানো গেলে রপ্তারী আয়ের উপর দৃশ্যমান প্রভাব পড়বে। এছাড়াও পুরুষের তুলনায় নারীদের এই পেশা থেকে বেরিয়ে যাবার প্রবনতাও কম।
নারীদের সম্ভাবনার বিষয়টিকে মানছে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগও। সরকারী উদ্যোগে সম্প্রতি শুধুমাত্র নারীদের জন্য চালু হয়েছে শি-পাওয়ার প্রকল্প যেখানে আউটসোর্সিং পেশার জন্য গড়ে তোলা হবে দশ হাজার পাঁচশো নারীকে। এছাড়া প্রতিবছর ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষন দেবার কথা ভাবছে সরকার।
তবে আউটসোর্সিং খাতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপে এগিয়ে নিতে আসন্ন বাজেটে প্রযুক্তি রপ্তানীতে নগদ সহায়তার কথা বলছেন প্রযুক্তিবিদরা।
বরাবরের মতো আসন্ন বাজেটে তথ্য-প্রযুক্তিখাত গুরুত্ব পাবে বলে আশা করছে আইসিটি বিভাগ; একইসাথে বর্তমানে নেয়া পদক্ষেপের উপর ভিত্তিকরেই ২০২১ সাল নাগাদ আউটসোর্সিং থেকে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে মনে করছে বিভাগটি।
পুরুষের পাশাপাশি বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ আউটসোর্সিংএ
আউটসোর্সিংএ পুরুষের পাশাপাশি বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। কারণ, ঘরে বসেই সুযোগ মিলছে উপার্জনের। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বলছে, শুধু নারীদের জন্যই চালু রয়েছে প্রশিক্ষণ প্রকল্প 'শি-পাওয়ার'; চুক্তি হয়েছে জাতিসংঘের সাথেও, কাজের সুযোগ সুষ্টি হচ্ছে কলসেন্টার গুলোতে। এই প্রকল্পগুলো সফল করতে আগামী বাজেটে প্রযুক্তি রপ্তানীতে নগদ সহায়তার পাশাপাশি কর জটিলতা কমানোর পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের।