লালমোহনে প্রতারক বিনা আহম্মেদ (দীপ্তি রাণী দাস)কর্তৃক সর্বসান্ত এক হিন্দু যুবক। পর্ব-১.
এম.ইউ মাহিম ভোলা জেলা প্রতিনিধি Channel 4TV :
দ্বীপের রাণী ভোলার লালমোহনের বিশিস্ট ব্যবসায়ী কালিপদ বাবুর ছেলে উজ্জলকে প্রতারক বিনা আহম্মেদ(দীপ্তি রাণী দাস) কর্তৃক সর্বসান্ত করার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আলোচিত এ ঘটনা লালমোহনের টক অফ দা টাউনে পরিনত হলেও এতদিন বিনা আহম্মেদ( দিপ্তী রাণী দাস)
সকলের পেয়েছেন সহানুভুতি সহমর্মিতা।কিন্তু এই সহানুভুতির আড়ালে তাহার কৃতকর্মের অনুসন্ধানে এসেছে গা শিউরে উঠা তথ্য।লালমোহনের আলোচিত এ ঘটনাটি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মুখে আলোচিত হলেও কেউই জানেনা কে এই বীনা আহম্মেদ(দীপ্তি রাণী দাস)কোথাও হিন্দু,কোথাও মুসলিম নাম ধারী হয়ে মুসলিম,
হিন্দু রীতিতে বিয়ে করতে অভ্যস্ত মাদকসেবী বহু বিবাহের স্বাদ গ্রহনের নেশায় উম্মাদ এই প্রতারক।
কোথাও মুসলিম রীতিতে কোথাও হিন্দু রীতিতে, মুসলিম,হিন্দু উভয় নামে অনেক ছেলেকে বিয়ে করে অর্থ আত্নসাৎ, মুল্যবান জিনিসপত্র,
সোনা গহনা,হাতিয়ে নিয়ে সর্বসান্ত করার সত্যতা পাওয়া গেছে।তেমনি এক প্রতারনার শিকার হয়ে এখন সর্বসান্ত লালমোহনের কালিপদ বাবুর নিরীহ ছেলে উজ্জল।আলোচিত এ ঘটনার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে থলের বেড়াল ও নানা অবিশ্বাস্য রকম প্রমান ও তথ্য।সকল তথ্যসংবলিত প্রমান প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
কে এই বিনা আহম্মেদ ছদ্ন নামে দীপ্তি রাণী দাস অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা য়ায়, মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা,স্বামী জোবায়ের আহম্মেদ,প্রযন্তে পিতা- আবদুল বাছেদ তালুকদার,সাং-বেতুয়া, পোঃ ভুঞাপুর,জেলা- টাঙ্গাইল।
জাতীয় পরিচয় পত্র করার সময় এই প্রতারক নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন নাম- মিসেস বিনা আহম্মেদ,পিতা- মোঃ আবদুল বাছেদ তালুকদার,মাতা- মোসাঃ লাভলী বেগম, জম্ম
তারিখ-০২-০৬-১৯৯২,বর্তমান ঠিকানা-(স্বামীর ঠিকানা অনুসারে)
গ্রাম/রাস্তা- অপারেটিভ জুট মিলস- ডাকঘর- পলাশ,১৬১০, পলাশ পৌরসভা।নরসিংদী। এন আই ডি নং- ১৯৯২৬৮২৬৩০৩০০০০১০
আলোচিত এ প্রতারকের বিবাহিত স্বামী ছিলেন জোবায়ের আহমেদ,
পিতা- মোঃ মোসলেম ভুইয়া,মাতা- মোসাঃ তাহমিনা খাতুন,জম্ম তারিখ- ০১-০৬-১৯৮২ এন আইডি নং-১৯৮২৬৮২৬৩০৩০০০০৯
বর্তমান ঠিকানা- গ্রাম,রাস্তা- অপারেটিভ জুট মিলস, ডাকঘর,পলাশ ১৬১০, পলাশ পৌরসভা, নরসিংদী। যা নিকাহ নামা অনুসারে গাছা ইউনিয়ন, থানা- সদর, জেলা- গাজীপুর ১২-০৬-০৭ ইং তারিখে উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জোবায়ের আহমেদের সাথে দাম্পত্য জীবনে কোল জুড়ে আসে ২ টি সন্তান যাদের বয়স স্বামী জোবায়ের আহম্মেদ এর সাথে মামলার কপি অনুসারে যথাক্রমে মোঃ বেলাল হোসেন(৬) ও মোঃ আব্দুল্লাহ(৪)।বহু বিবাহের স্বাদ গ্রহনে অভ্যস্ত বিনা আহমেদ( দীপ্তি রাণী দাস) প্রতারনার নেশায় জোবায়ের আহমেদ এর সাথে পারিবারিক কলহ হলে বাদী হয়ে বিজ্ঞ টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট " ক" অঞ্চল আদালত। মোকদ্দমা নং-২০২/ ২০১৬ইং মামলা করেন। মামলাটি নিস্পত্তি হওয়ার প্রমান হিসেবে দেখা যায়, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট,টাঙ্গাইল এরিয়া- এ,পিটিশন কেস নং- ২০২/১৬, মামলাটি দেখা যায় ২২/০৫/১৬ নিস্পত্তি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের হালডোবা এলাকায় কালিপদ বাবুর ছেলে উজ্জল একটি গার্মেন্টসে"প্রোডাকশন অফিসার হিসেবে চাকুরী করতেন। গত বছরের অক্টোবর মাস হতে নিজ ভাড়া বাসার বাসেই তখন ভাড়া থাকত বিনা আহম্মেদ(ছদ্ন নামে দীপ্ত রানী দাস) ছদ্ন নামধারী এ প্রতারক তখন একটি এনজিওতে চাকুরী করতেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি থাকার সুবাধে এই প্রতারক নিজের মুসলিম নাম গোপন করে দীপ্ত রাণী দাস নাম দিয়ে উজ্জলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।
চলতি বছরের মার্চ মাসের ১২ তারিখে মাসে বিনা আহমেদ( দীপ্ত রাণী দাস) উজ্জলকে ফোন করে গাজীপুরের শিব মন্দিরে আসতে বলে।নিরীহ উজ্জল সরল মনে তাহার কথা মত মন্দিরে পৌছলে আগে হতে পরিকল্পিতভাবে রাখা কিছু লোক দ্বারা উজ্জলকে হিন্দু রীতিতে ঐ শিব মন্দিরে বিয়ে করতে বাধ্য করে।বিয়ের ছবি সংগৃহীত হয়েছে। (চোখ রাখুন ২য় পর্বে শিঘ্রই প্রকাশিত হবে)