আরও ২ জেলেসহ মোট ৮৩ জন জীবিত উদ্ধার কক্সবাজারের কাছে
ঘুর্ণিঝড় মোরা’র কারণে নিখোঁজ হওয়া আরো দুই জেলেকে কক্সবাজারের কাছে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর থেকে মোট ৮৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হল। নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ ৫টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশের পুরো সমুদ্রসীমায় একযোগে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
একই সাথে নৌবাহিনী কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিনে দূর্গতদের ত্রাণ সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগের দিন ধলেশ্বরী এবং অপরাজেয় জাহাজের সাহায্যে কক্সবাজারের এলিফ্যান্ট পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়ার কাছ থেকে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ২৪জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জেলেদের সবাইকে সুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ চট্টগ্রামের পাঁচ নম্বর জেটিতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য ত্রাণের পাশাপাশি ৩৩ বাংলাদেশি জেলেকে নিয়ে এসেছিল।
ঝড়ের কারণে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর ১৮টি জাহাজ কাজ করছে। এছাড়া হেলিকপ্টার ও টহল বিমান কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন্স, টেকনাফ, চট্টগ্রাম ও খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলসহ গভীর সমুদ্রে তল্লাশী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দূর্গত এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এই উদ্ধার অভিযান, ত্রাণ বিতরণ ও জরুরী চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
গত ৩০ মে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে ঘূর্ণিঝড় মোরা। সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে ঘণ্টায় ১৩৫ কি.মি গতিবেগে আঘাত হানে এই ঘূর্ণিঝড়টি। এদিন দুপরের মধ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের মণিপুরে সরে যায় ঘূর্ণিঝড় মোরা।বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে এটি।
মোরা’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়।এই ঝড়ে ছয় জন প্রাণ হারান। অসংখ্য বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় এবং উপদ্রুত এলাকার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।