পানির জন্য হাহাকার রাজধানীতে
তীব্র পানি সংকটে বিপর্যস্ত নগরজীবন। বিশেষ করে রাজধানীর উত্তরার অন্তত ৬টি সেক্টরে দুসপ্তাহ ধরে পানি না থাকায় দিশেহারা ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। এমন পানিবিহীন পরিস্তিতিতে রমজানের বাকি দিনগুলো কিভাবে কাটবে, সেই চিন্তায় আতঙ্কিত তারা। স্থানীয় ওয়াসা কর্মকর্তা বলছেন, লোডশেডিয়ের কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা। বলা হয় এটি ঢাকার সবচেয়ে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। কিন্তু, গত দু' সপ্তাহ ধরে তীব্র পানি সংকট এলোমেলো করে দিয়েছে এখানকার জনজীবন।
উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের পানির পাম্পের সামনের দৃশ্য এটি। গাড়ির জন্য নয়। মালিকের বাড়ির জন্য পানি নিতে এসেছেন এই প্রাইভেট কার চালক। ৫ নম্বর সেক্টর থেকে রোজ অন্তত ৫ বার এভাবে পানি পানি বহন করতে হচ্ছে তাকে।
পানির জন্য দিনভর কেউ না কেউ ছুটে আসছেন এখানে। তবে, পাম্প থেকে পানি বহন করে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ভোগান্তিতে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে রোজাদারদের। সরেজমেনি ঘুরে দেখা যায়, পানির জন্য এই হাহাকার উত্তরা ৩, ৫, ৮, ১০, ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টরে।
ভাড়াটিয়া চাপ দিচ্ছেন বাড়িওয়ালকে, আর বাড়িওয়ালা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু, সমাধান হচ্ছে না কিছুতে। ফলাফল, গৃহস্থালীর কাজকর্ম ও সুপেয় পানি যোগাড় করতে প্রতিদিন বাড়তি খরচ গুনতে গুনতে বাসিন্দাদের।
উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডে রজমান আলীর আট সদস্যের পরিবার এটি। পানির অভাব থেকে বাঁচতে ৪জন গেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। বাকিরা কোনোমতে দিন কাটাচ্ছেন বিকল্প ব্যবস্থা করে।
সংকট সম্পর্কে জানতে স্থানীয় ওয়াসা কার্যালয়ে গেলে, সটকে পড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী। এ সময় তার কক্ষে দেখা মিললো কয়েকজন ভুক্তভোগীর।
অনেক অনুরোধের মুখ বললেন উপবিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী। তিনি জানান, পর্যাপ্ত বিদ্যুত না থাকায় পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। দুসপ্তাহ বাসিন্দাদের কোনো সদুত্তর না দিলেও, এখন গণমাধ্যমকে আশ্বাস দিলেন দু' তিন দিনেই সমাধান হবে।
শুধু উত্তরা নয়, পানিবিহীন রমজান কাটছে মিরপুর, মোহাম্মদুপুর, যাত্রাবাড়ি, দক্ষিণখানসহ বেশ কিছু জায়গায়। আর এই পরিস্থিতি নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসার শীর্ষ কর্তাদের।