সাভার আশুলিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে দর্জি কারিগররা
আব্দুস সাত্তার,সাভার Channel 4TV :
আর ১৯ দিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ। ঘরে ঘরে নতুন জামা-কাপড় পড়ে ঈদ উৎসবকে ভাগাভাগি করবে এটাই স্বাভাবিক। এই দিনটিকে ঘিরে ইতোমধ্যে মহিলারা দর্জি দোকানে থ্রি-পিচ, বোরখা, লেহেংগা, পাখি ও কিরণ মালাসহ হরেক রকমের পোশাক তৈরীর জন্য অর্ডার দিতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে পুরুষেরাও শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী এবং ফতুয়া অর্ডার দিতে ছুঁটছেন দর্জিপাড়ায়। আর ইতোমধ্যে অর্ডারীদের পোশাক ডেলীভারী দিতে দর্জি কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। শপিং মলের দোকানে মুজুরী একটু বেশী হওয়ায় অনেকেই বাইরের মার্কেটগুলোতে ঝুঁকে পড়ছেন।
শিল্পাঞ্চল-আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমনটি দৃশ্য চোখে পড়ে। এ অঞ্চলে কয়েক শত দর্জি রয়েছেন। একদিকে কারিগরদের পা দিয়ে মেশিন চালানোর ঘটঘট শব্দ অন্যদিকে সিজার দিয়ে ফেব্রিক্স কাটাসহ কাটারের অতিরিক্ত সুতা কাটার শব্দ লক্ষ্যণীয়। সামনের দিনগুলোতে এভাবেই চলবে। দরকার হলে অতিরিক্ত দর্জি কারিগর নিয়োগ দিয়ে কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত তারা কাজ করবেন । আর তাদের এ ব্যস্ততা থাকবে চাঁদরাত পর্যন্ত।
বাহারী পোশাকের দাম চড়া হওয়ায় এবং মাপ ঠিকমত না হওয়ায় পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জি দোকানগুলোতে ঝুঁকে পড়ছে ক্রেতাসাধারন। গত শুক্রবার এ অঞ্চলের অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। তবে এদের মধ্যে বেশীর ভাগই ছিলো নারী ক্রেতা। ১০ তারিখে পোশাক কারখানাগুলোতে বেতন দেওয়ার পরে দোকানগুলোতে ক্রমেই ভীড় বাড়তে থাকবে বলে জানান দর্জিরা। এরকম এক দর্জি দোকানে পোশাক বানাতে আসা এলিজা বেগম নামের এক গার্মেন্টস কর্মী জানান, ঈদের ছুঁটিতে গ্রামের বাড়ীতে যাবো। আর গত শুক্রবার গার্মেন্টস বন্ধ থাকায় একটু ভালো কাপড় কিনে আগেই পোশাক বানাতে দর্জির দোকানে এসেছি। যাতে আগেবাগে পোশাক নিতে পারি।
আশুলিয়ার বাংলাবাজর এলাকার মামনি টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স নামে একটি দর্জি দোকানের মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এবছরে ক্রেতারা নানা রঙ্গের কাপড় কিনে বাহারী পোশাক বানাচ্ছেন। আমার দোকানে ৭ জন শ্রমিক প্রোডাকশনে কাজ করছেন। আমরা রোযার আগেই অর্ডার নেওয়া শুরু করেছি এবং ১৫ তারিখ পর্যন্ত অর্ডার নিবো। আর সেগুলো সরবরাহ করতে চাঁদরাত পর্যন্ত কাজ করব।