মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপি এম. এবার ঈদে স্পীডবোটে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেয়া হবেনা
রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
আসন্ন ঈদুল ফিতরে শিমুলিয়ায় ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোট – এই তিনটি ঘাটের পরিবহন ও পরিবহনের যাত্রীদের কাছ থেকে কোন প্রকার বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেয়া হবেনা।এই বাড়তি ভাড়া আদায় রোধ করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। আসন্ন ঈদেযাত্রী সেবা ও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে যাত্রীদের পারাপারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতে এসব কথা বলেন, মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম।তিনি বলেন, প্রতি বছর শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী সেবায় ঈদের কয়েকদিন আগে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও এবার কম পক্ষে ১০ দিন আগ থেকেই এই পথের যাত্রী সেবায় বিশেষ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে রেখেছেন তারা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষদের অবাদে ঈদে ঘরমুখো যাতায়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পাঁচ শতাধিক পুলিশ মোতায়ন করা হবে। কোন রকম চাঁদা বা ছিনতাই বা মলম পার্টির দৌরাত্ব রোধে সাদা পোষাকে থাকবে টহল পুলিশ সদস্যরা। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা, জরুরী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসহ নানাবিধ ব্যবস্থা।ঈদ এলেই এই ঘাট হয়ে পারাপারের যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করে তবেই পারাপারহতে হয়। অন্যান্য যানবাহনে যাত্রীরা জন প্রতি সামান্য বেশি ভাড়া দিলেও অস্বাভাবিক হারে বাড়তি ভাড়া আদায় করে নেয় স্পীডবোট কর্র্তৃপক্ষ। প্রতিটি যাত্রীথেকে সব ঈদের তিন দিন আগে- পরে আদায় হয় ৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া। ১৩০ টাকা ভাড়ার স্থলে প্রতি জনকে শোধাতে হয় দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত।ঈদের তিন দিন আগ থেকে এই রুটের তিনশতাধিক স্পীডবোটে চড়ে পার হয় প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী, যার হিসেব কষলে স্পীডবোট কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত আদায় করে নেয় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। পুলিশ সুপার এই বিষয়টিকে এবার অধিকতর গুরুত্ব দিবে বলেও এই প্রতিবেদককে জানান। তিনি বলেন, এবার স্পীডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধ করতে নৌ -পুলিশ বিশেষ দায়িত্বে থাকবে। যার ফলে এবার অতিরিক্ত ভাড়ার নামে চাঁদা আদায়ের কোন সম্ভবনা থাকবেনা বলে দৃঢ়তার সাথে মনে করেন পুলিশ সুপার