মাছ রপ্তানিতে ৩৮৩৭ কোটি টাকা আয়
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৭ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুন মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে এটি এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ কম। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা মোট হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয়ের ৮৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১১ মাসে ৪৮ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৭ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪৮ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরেরর প্রথম ১১ মাসে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৮০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৭৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ৬ দশমিক ৩৩ শতাশ কমেছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ০২ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে চিংড়ি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এই সময়ে আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪০ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে চিংড়ি রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কাঁকড়া রপ্তানি আয় ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৯৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় এই খাতে চলতি অর্থবছরের একই সময়ের আয় ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরে অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৬৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।