দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা আর শ্রমিক অসন্তোষের চিত্র নতুন নয়। ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা আর উৎসব বোনাস নিয়ে, এ অসন্তোষ অনেক সময়ই রূপ নেয় বিস্ফোরণে।
আর এ পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েক বছর ধরে ঈদের আগেই বেতন-বোনাস দিতে, মালিক পক্ষকে তাগিদ দিয়ে আসছে সরকার। এবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ২০ জুনের মধ্যে পরিশোধের।
শিল্প পুলিশের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামে অঞ্চলে পোশাক কারখানা রয়েছে, তিন হাজার ৩৭৮টি। যার মধ্যে এখনও বেতন-বোনাস দেয়া হয়নি ৫১৮টি কারখানায়। এরমধ্যে ২৪৭টি বিজিএমইএ আর ৮৩টি বিকেএমইএ সদস্য।
শিল্প পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই এলাকার বিভিন্ন ধরনের মোট এক হাজার ৭৩টি কারখানা মাত্র ২৭ শতাংশ বোনাস দিয়েছে কিংবা দেবে। তাই বাকিগুলো থাকছে অসন্তোষের ঝুঁকিতে।
শ্রমপ্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিকদের মাঝে কোনো অসন্তোষ থাকলে তা, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সরকারি নির্দেশ থাকার পরও, অনেক কারখানার মালিকই তা মানছেন না আর্থিক সংকটকে এর কারণ হিসেবে দেখিয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বিজিএমইএ।
পোষাক কারখানা বেতন না পেয়ে অশান্ত হবার শঙ্কায় গোয়েন্দারা
ঈদের আগে বেতন ভাতা নাও পেতে পারেন, পাঁচ শতাধিক কারখানার শ্রমিকরা। এতে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে গার্মেন্টস খাত। এ শঙ্কা গোয়েন্দাদের। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ঘোষিত ২০ জুনের মধ্যে বেতন ভাতা পরিশোধের নির্দেশনা মানতে পারবে না অনেক কারখানা। তবে সে সময় বাড়িয়ে ২২ জুনের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।