আদালতে ভূয়া সাক্ষীকে দিয়ে সাক্ষ দেওয়াতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা মিল্টনসহ ২জন কারাগারে
ছনি চৌধুরী,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV : হবিগঞ্জ জজ কোর্টে ভূয়া সাক্ষীকে দিয়ে সাক্ষ দেওয়াতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা মিল্টন ও ভূয়া সাক্ষীকে গ্রেফতার এর পর তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের বেঞ্চ সহকারি হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার আধিত্যপুর গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্র ভূয়া সাক্ষি মাহমুদ মিয়া (২৫) ও বড় আলীপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান ওরপে লেছু মিয়া চৌধুরীর পুত্র আসামী মিল্টন চৌধুরী(৩০) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, আলীপুর গ্রামের আলা উদ্দিন বাদি হয়ে ৫ লাখ টাকার ব্যাংক চেক জালিয়াতির মামলা করেন মিল্টন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। মামলাটি বর্তমানে জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় মিল্টন চৌধুরীর মানিত সাফাই সাক্ষি বানিয়াচং উপজেলার বেতকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল বাছিতের পুত্র সাইফুর রহমানের স্থলে ভূয়া সাক্ষি আধিত্যপুর গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্র মাহমুদ মিয়াকে সাক্ষি সাইফুর রহমান বানিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে আসে। আদালতে জবানবন্দি শেষে জেরার সময় বাদির নিয়োজিত আইনজীবি এমদাদুল ইসলাম শাহীন ও পিপি আব্দুল মতিন বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। তখন মাহমুদ ও মিল্টন চৌধুরী ঘটনা স্বীকার করলে আদালতের বিচারক কাজী মিজানুর রহমান তাদের আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র না হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নবীগঞ্জ উপজেলা শাখায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতি করে আসছে মিল্টন । উল্লেখ্য , (৮জুন) বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জে গভীর রাতে চার সন্তানের জননীর সাথে পরকীয়ার জের ধরে বড় আলিপুরের আলেয়া বেগম(৩৮) সাথে দেখা করতে যান ছাত্রদল নেতা মিল্টন আহমেদ। পরে রাত ১টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার উপস্থিত টের পেয়ে আলেয়া বেগমের বসত ঘরে গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্তায় দেখতে পায়। এসময় স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে আটক করে রাখে।পরে স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ হয় । ছাত্রত্ব না থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদল করার সুবাধে একের পর এক অনৈতিক কাজে লিপ্ত থেকে ছাত্রদলের বহু বছরের সুনাম নষ্ট করায় ছাত্রদলের নেতা কর্মীসহ নবীগঞ্জ উপজেলায় এনিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন ।