সুধীন দাশের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
সঙ্গীতজ্ঞ সুধীন দাশের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গীতে সুধীন দাশের অবদানের কথা স্মরণ করেন। একইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ সুধীন দাশ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
সুধীন দাশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় অ্যাপোলো হাসপাতালের শবহিমাগার থেকে সুধীন দাশের মরদেহ মিরপুরে তার বাসায় নেয়া হবে।
সকাল ১০টায় নিয়ে যাওয়া হবে নজরুল ইনস্টিটিউটে, বেলা ১১টায় সুধীন দাশের মরদেহ সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর দুপুরে পোস্তগোলা শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
সুধীন দাশকে ১৯৮৮ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়। এরপর তাকে চ্যানেল আই নজরুল মেলায় আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি পেয়েছেন মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা, নজরুল একাডেমী পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা।
সুধীন দাশ ছিলেন উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এবং সঙ্গীত গবেষক। বাংলাদেশে সঙ্গীতের ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি তাদের একজন। সঙ্গীতের প্রতিটি শাখায় তিনি সদর্পে বিচরণ করে নিজেকে সঙ্গীতের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন।
বাংলা গানকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে তার অবদান অসীম। তার বিশেষত্ব হচ্ছে নজরুলসংগীতের আদি গ্রামোফোন রেকর্ডের বাণী ও সুর অনুসারে স্বরলিপি গ্রন্থ লেখা।
সুধীন দাশ নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে ১৬টি ও নজরুল একাডেমি থেকে ৫টিসহ মোট ২১টি খন্ডের ‘নজরুলের গানের স্বরলিপি’ গ্রন্থ বের করেন। লালনগীতির ক্ষেত্রেও তার অবদান সর্বজন স্বীকৃত। তিনিই প্রথম লালনগীতির স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশ করেন।