ওঝাঁর অপচেষ্টায় প্রাণ গেল সর্পদংশনে আহত শিশুর
ওঝাঁর ঝাড়ফুকে বিশ্বাস করে সর্পদংশনে আহত হাবিবা (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিষমুক্ত করতে দীর্ঘ তিনঘন্টা ওঝাঁদের অপচেষ্টার পর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মাঝে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে হাবিবা। এমনই মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা। শনিবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাবিবা খাতুন গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিমের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবিবা খাতুনকে দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে সর্পদংশন করে। বিষ নামাতে গ্রামের জয়নাল নামের এক ওঝাঁর কাছে নেয়া হয়। তিনি ঝাড়ফুক দিয়ে বিষ নামানো দাবি করে হাবিবাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ঘন্টাখানেক পরে হাবিবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে একই গ্রামের অপর ওঝাঁ কাবের উদ্দীন কাটুর কাছে নেয়া হয়। তিনিও ঝাড়ফুক করে বিষ নেই বলে দাবি করেন। হাবিবাকে আবারো বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। সন্ধ্যায় হাবীবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গ্রাম্য চিকিৎসক ঠান্ডু মিয়ার কাছে নেয়া হয়। তখন ঠান্ডুর পরামর্শে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় হাবিবাকে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আরেফিন বলেন, হাসপাতালে পৌঁছুনোর আগেই হাবিবার মৃত্যু হয়। কিন্তু সময়মত তার শরীরে এন্টি ¯েœক ভেনম দিতে পারলেই প্রাণে বাঁচানো সম্ভব ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। সর্পদংশনের রোগীদের ওঝাঁর কাছে না নিয়ে গিয়ে যেকোন জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।