আশুলিয়ায় সাড়ে ৩ মাস পরে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার
নিজেস্ব প্রতিবেদক Channel 4TV :
আশুলিয়ায় নয়ারহাট এলাকায় ঝুঁট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের সময় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়ে হত্যা করা হয়। এরপরে নিহতের ভাই সুমন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। শুক্রবার দুপুর এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী সজীবকে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
সজীব আশুলিয়ার চাকলগ্রাম এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে। সে হত্যা কান্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) শামীম হাসান এবিষয়ে জানান, গত ২৯ মার্চ বিকেলে ঝুঁট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রæপের সংর্ঘষ চলাকালীণ সময় গুলি করে ব্যবসায়ী রহিমকে হত্যা করা হয়। এর পরদিন আশুলিয়া থানায় নিহতের ভাই আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামী সজীব পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বার বার পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সাড়ে তিন মাস পর প্রযুক্তিকর ব্যবহারের মাধ্যমে ধামরাইয়ের শরিববাগ স্ট্যান্ড সজীব অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। এসময় কৌঁশলে সজীবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন পুলিশ। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সে। তবে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সজীব এলাকায় ভাড়াটে মাস্তান হিসেবে বেশি পরিচিত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকার বাজারগুলোতে চাদাঁবাজীর অভিযোগও রয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ বছরের শুরু থেকে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে হালিমের সাথে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জেমের সাথে টাকসুর এলাকার ডেলিম ম্যাপ এর ঝুঁট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ ঝুঁট ব্যবসাকে দখলের জন্য নয়ারহাট বাজারে মোয়াজ্জেমের নিজস্ব অফিসে হালিম তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুগ্রæপে’র সংঘর্ষ চলাকালীণ সময়ে অফিসে থাকা আব্দুর রহিমকে প্রকাশ্যে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে তারা। পরে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে তার পরদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, সদস্য শফিউর রহমান সোহাগ, সজীব, হালিমসহ ১৪জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনের অজ্ঞাত নামে নিহতের ভাই সমুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন । এতে ইউপি চেয়ারম্যান, ও সদস্যসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে তারা আদালতে জামিন পান।