রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্পে পরিবেশ রক্ষায় সুপারিশ অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ইউনেস্কোকে তা জানাতে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
তবে এই সময়ের মধ্যে রামপাল প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ। ইউনেস্কোর পাঠানো ডকুমেন্ট থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। পোলান্ডের কারাকাওয়ে, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বলা হয়, রামপাল নিয়ে ইউনেস্কো যা যা বলবে, তা মেনে চলা হবে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা-ইউনেস্কোর ৪১ তম সম্মেলনে আলোচনায় পঁচিশ নাম্বর তালিকায় ছিলো সুন্দরবন।
সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পশুর নদীতে ড্রেজিংয়ের ফলে পরিবেশ বিপর্যয় এবং কৌশলগত পরিবেশগত সমীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রামপাল প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখাসহ ১০ দফা খসড়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত আসে এই সম্মেলনে। বাংলাদেশের সরকারের দেয়া প্রতিবেদনকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয় তুরষ্ক, ফিনল্যান্ড, কুয়েত, আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, পর্তুগালসহ ১০টি দেশ। পোলান্ডের কারাকাওয়ে বাংলাদেশ সময় ৫ জুলাই রাতে ওই সম্মেলনে সরকার পক্ষে বলা হয়, রামপাল নিয়ে ইউনেস্কো যা যা বলবে তা মেনে চলা হবে।
সবমিলিয়ে বেশ কয়েকটি সংশোধনী পাস হয় কারাকাওয়ে। এতে ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর দেয়া সুপারিশ কতোটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা জানাতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এ নিয়ে আলোচনা হবে ২০১৯ এর ৪৩ তম সম্মেলনে। অন্যদিকে এই সময়ে কাজ বন্ধ রাখার খসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদন করেনি সংস্থাটির ৪১তম সম্মেলন। পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক বৈশ্বিক জোট- আই ইউ সি এন- এর বিশেষজ্ঞও বলছেন, সুন্দরবন ইউনেস্কোর ঝুঁকি তালিকায় পড়ার মতো অবস্থায় এখনো আসেনি।
তবে রামপাল প্রকল্পের বিরোধীতা প্রত্যাহার করেছে ইউনেস্কো-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন দাবীর বিষয়ে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বিষয়টি সহসাই প্রকাশ করবে সংস্থাটি। এদিকে আগের অবস্থান থেকে ইউনেস্কোর সরে আসা নিয়ে সরকার বক্তব্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব। তিনি আরও জানান, রামপাল নিয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসার নৈতিক কোন অবস্থান নেই জাতীয় কমিটির।