স্মার্টকার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ বরিশালে দুর্ভোগে নগরবাসী
বরিশাল নগরীতে চলছে নির্বাচন কমিশনের স্মার্টকার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম। তবে কার্ড না পাবার অভিযোগ করেছেন নগরীর অনেক বাসিন্দা। আবার কার্ড পেলেও ভুল তথ্য থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার নগরবাসী। অবশ্য নির্বাচন কর্মকর্তারা নানা কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা জমি বেচা-কেনা। এ রকম ২৫ ধরণের কাজে লাগবে জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্টকার্ড। নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে সারাদেশে বিতরণ করছে জাতীয় পরিচয়পত্র। বরিশাল নগরীতে গত ১৩ জুন থেকে শুরু হয়েছে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা হবার পরও কার্ড না পাবার অভিযোগ করেছেন অনেকে। আবার কার্ড পেলেও ভুল ছাপার অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগী একজন বলেন, 'আমি এসে দেখি আমার স্মার্টকার্ড হয় নাই। আমি এসে একটা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে গেছি।'
এক নারী বলেন, 'কি সমস্যা হয়েছে বলতে পারি না। আমাকে দুই তিন মাস পরে আসতে বলেছে।'
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুর্তজা আবেদীন বলেন, 'অনেকে স্মার্ট কার্ড পায়নি আবার অনেকের স্মার্ট কার্ডে ভুল হয়েছে। এতে জনগণ আসলে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে।'
এ ধরনের সমস্যা সমাধানে নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বরিশাল নাগরিক পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়ে না আসা এবং ভুল প্রিন্ট হওয়া দু'টো বিষয়ের জন্যই আমি মনে করি নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট লোকজনই দায়ী। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিৎ এ ব্যাপারে আরো সতর্ক হওয়া।'
নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন কারণে এ ধরণের সমস্যা হয়েছে।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই আল হাদী বলেন, 'মাত্র দুই শতাংশ লোকের স্মার্টকার্ড আসেনি। সেগুলো ডাটাবেইজের বিভিন্ন ত্রুটির কারণে। যেমন, তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নাই এবং তাদের ছবিতে সমস্যা আছে অথবা স্থায়ী ঠিকানায় সমস্যা। এ জাতিয় লোকদের আমরা তালিকা করে নিয়েছি এবং আমরা এক নাম্বার ফর্ম পূরণ করে দিলে তাদের স্মার্ট কার্ড আবার প্রিন্ট হবে।'
জেলা নির্বাচন অফিসের মতে, বরিশাল নগরীর ৪ হাজার ৩শ ৭০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রিন্ট হয়ে আসেনি। ফলে এ দফায় তারা পাচ্ছেন না জাতীয় পরিচয়পত্র। নগরীর মোট ভোটার ২লাখ ২৫ হাজার।