গাংনীতে ইমাম ও যুবতী নির্যাতন। এখনও ধরাছোয়ার বাইরে সমাজপতিরা
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধি Channel 4TV : মেহেরপুরের গাংনীর তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সিমান্তর্তী মথুরাপুর গ্রামে মসজিদের ইমাম নাজমুল হুসাইন ও বেলী খাতুন নামের দুজন যুবক যুবতীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদের ইমাম নাজমুল হুসাইন এজাহার থানায় দেয়া হয়েছে বলে দাবি করলেও তা অস্বীকার করেছেন গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। এদিকে করমদী গ্রামে যুবক যুবতী নির্যাতনের ঘটনায় দ্রত মামলা রেকর্ড করে আসামী গ্রেফতার অব্যাহত থাকলেও মথুরাপুর গ্রামের ইমাম নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভুগী সহ এলাকাবাসি। মসজিদের ইমাম নাজমুল হুসাইন ও যুবতী বেলী খাতুনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগে গত ১ লা জুলাই উপজেলার তাদের গাছের সাথে বেধে নির্যাতন শেষে বিয়ে দিয়ে দেয় সমাজপতিরা। নাজমুল হুসাইন তেঁতুলবাড়িয়া মোল্লাপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও রামদেবপুর মালিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম এবং বেলী খাতুন মথুরাপুর গ্রামের ঝড়ু মন্ডলের মেয়ে। ভুক্তভুগী মসজিদের ইমাম নির্যাতিতত নাজমুল হুসাইন বলেন,গত সোমবার থানায় এজাহার দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারনে মামলা রেকর্ড করা হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন,মামলা রেকর্ড না হলে মানববন্ধন,শহীদ মিনারে অনশন ও সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে। তাতেও প্রশাসন কর্নপাত না করলে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাবো। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন,মসজিদের ইমাম নাজমুল হুসাইন এখন পর্যন্ত এজাহার দায়ের করেনী। এজাহার না দিলে মামলা নেব কিভাবে। ইমাম নাজমুল হুসাইনের পিতা দেলোয়ার হোসেন জানান,নির্যাতনকারী ক্ষমতাধর হওয়ার কারনে পুলিশ মামলা নিতে চাচ্ছেনা। থানায় লিখিত এজাহার দিলেও এখন তা অশ্বিকার করছে।