নীলফামারীতে তিস্তায় বন্যার্তদের সরকারের বিশেষ ত্রান সহায়তা প্রদান
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী :বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরকারের বিশেষ ত্রান সহায়তা প্রদান শুরু হয়েছে নীলফামারীতে।
বুধবার দুুপুরে তিস্তার প্রবেশপথ ডিমলা উপজেলার ঝাড়সিংহেশ্বর কর্মসুচীর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম। অনুষ্ঠানে নীলফামারী জেলায় বন্যা পর্যবেক্ষণে দায়িত্বে থাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান, পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান উপস্থিত ছিলেন সেখানে। অনুষ্ঠানে সাতশ বনার্ত্যরে মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিলো দশ কেজি করে চাল, শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট। তিনি জানান, নদী বেষ্টিত হওয়ায় ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার এখোনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান সহায়তা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে জেলার দায়িত ¡প্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়াতে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই তাদের ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পানি নামা শুরু হলেও দুর্ভোগ কমেনি তিস্তা পাড়ের মানুষদের। কর্মহীন হয়ে পড়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। বর্ষার ভরা এই মৌসুমে অন্তত দু’মাস সরকারী সহায়তা প্রদানের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংশ্বের চরের শামসুল ইসলাম জানান, এই এলাকা তিয়ে তিস্তা প্রবেশ করায় সব সময় আতংকের মধ্যে থাকতে হয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে।
যখনই পানি বাড়ে তখনই দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে পড়ে। আবাদ হয়না। প্রায় দুই মাস কর্মহীন হয়ে থাকতে হয়।
দেখা দেয় খাদ্য সংকট। এজন্য বর্ষা মৌসুমে এলাকার মানুষদের জন্য বিশেষ সহায়তা চালু করা দরকার।
জেলা ত্রান ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জমান জানান, নীলফামারী জেলার দশটি ইউনিয়নের তিন হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। তাদের জন্য তিন দফায় সাড়ে ৬লাখ টাকা এবং ১৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করার নির্দেশ দেয়া রয়েছে।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে। সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ১৮সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।