পার্বতীপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের বেহাল দশা, যাত্রী দুর্ভোগ
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
সৈয়দপুর-পার্বতীপুর মহাসড়কের বেহাল দশা হওয়ায় সৈয়দপুর ক্যান্টমেন্টের খোদাহাফেজ গেট থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যন্ত যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ওই সড়কটিকে ভিআইপি সড়ক বলা হয়। কারণ ওই সড়ক দিয়ে সৈয়দপুর সেনানিবাস, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, উপজেলা পরিষদ, আর্মি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিমানবন্দর যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে ওই সড়ক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসহ ভিআইপিদের যাতাযাতের একমাত্র পথ। এছাড়া ফুলবাড়ী, বিরামপুর, স্বপ্লপুরী, পার্বতীপুর, বদরগঞ্জ, জয়পুর হাটসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় যাওয়ার রাস্তা এটি। প্রতিদিন কয়েকশতাধিক ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। কিন্তু সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্ত থাকায় প্রতিদিন বেশ কিছু গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া একটু বৃষ্টি হলে কাদায় একাকার হয়ে যায় সড়কটি। কয়েক স্থানে ৩/৪ ফিট উচু-নিচু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক মটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও অটোরিক্সা গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শুক্রবার ১৪ জুলাই দুপুরে ওই সড়ক গেলে দেখা যায় আধাকিলোমিটার সড়কে কাদায় দই হয়েছে। যানবাহনগুলো লাইন ধরে রয়েছে। ধীরে ধীরে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ পাড় হচ্ছে। এর ফলে ওই সড়ক বিমুখ হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনগুলো। সড়কের এ অবস্থার কারণে বর্তমানে ওই সড়কে যানজট লেগেছে।
সৈয়দপুর জনপদ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের গর্তগুলো ২/৩ বছর পরপর মেরামত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে মেরামতের কয়েক মাস পর পুণরায় গর্তের সৃষ্টি হয়। নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক মমতাজ আলী জানান, সড়কটিতে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক খারাপ থাকায় যানবাহন যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ চলাচলের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটি নির্মান করা হলেও কয়েকমাস পড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ঠিকাদারের অনিয়ম ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জানান, এ সড়কটি নিয়ে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় আছি। সড়কটির সংস্কারের প্রয়োজন। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় আমরা পাচ্ছি না। অর্থ বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার করা হবে। ওই সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলকারীরা সড়কটির সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।