মেহেরপুরে বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
এম এ লিংকন মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার তসলিম উদ্দিকে আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার লিখিত ব্যখ্যা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১০ জুলাই মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছানাউল্লাহ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদেশে ১৮ জুলাই আদালতে ক্যাম্প কমান্ডার তসলিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত দুই জওয়ানকে স্বশরিরে হাজির হয়ে ঘটনার লিখিত ব্যাখা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশে বলা হয়েছে, এরশাদ আলী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন একটি হোটেলে খাবার খেতে যান। তার কাছে এক বোতল ফেন্সিডিল আছে দাবি করে তাকে বিজিবি জওয়ানরা আটক করেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বিজিবি’র দাবি প্রত্যাখান করে কোমরে ফেনসিডিল গুজে দিয়ে এরশাদকে মাদক ব্যবসায়ী বলে প্রমান করার চেষ্টা করেন। গ্রামবাসী এরশাদ আলীর পক্ষ নিয়ে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থান নিলে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় এরশাদ আলীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আদেশে আরো বলা হয়েছে, এরশাদ আলী মাদক ব্যবসায়ী হলে তাকে কেন মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হলো না এবং সে যদি মাদক ব্যবসাযী না হয় তা হলে কেন তাকে ফেনসিডিল দিয়ে আটক করা হলো। এ ক্ষেত্রে বিজিবি প্রচলিত আইন লংঘন করেছেন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জানা গেছে, গত ৯ জুলাই রবিবার সকালে গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে এরশাদ আলী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ম একটি হোটেল খাবার খাওয়ার জন্য প্রবেশ করে। এসময় সিভিল পোশাকে দুই জন বিজিবি সদস্য এরশাদ আলীকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে বিজিবি’র সদস্যরা একটি ফেন্সিডিলের বোতল এরশাদ আলীর কোমরে গুজে দেয়। এসময় ওই বোতলটি এরশাদ ছুড়ে ফেলে দিলে বিজিবি সদস্যরা এরশাদ আলীকে মারধর করে পুনরায় ফেনসিডিলের বোতলটি কোমরে গুজে দিয়ে তাকে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ সহকারে ক্যাম্পের কাছে অবস্থান নেয়। পরে গ্রামের ক্যাম্প মোড়ে আগুন জ¦ালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ক্যাম্প কমান্ডারের প্রত্যাহার দাবি করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সহড়াতলা ক্যাম্পে গেলে বিজিবি সদস্যরা সাংবাদিকদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং কোন তথ্য দিতে অস্বীকার করেন। পরে ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর নেওয়ার জন্য সড়কের মাঝখানে দাড়িয়ে পথরোধ করেন এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।