সীতাকুণ্ডে পাহাড় ধসে শিশুসহ পাঁচ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুরে শুক্রবার ভোরে পাহাড় ধসে দুই পরিবারের শিশুসহ পাঁচ জন মারা গেছেন।
তারা হলো- মোহাম্মদ রফিক উদ্দিনের স্ত্রী বিবি ফাতেমা (৩৫) ও ছেলে ইউনুছ (১০)। একই এলাকার কামাল উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৫), তার শিশুকন্যা লামিয়া আক্তার (৭) ও সামিয়া আক্তার (২)। এ ঘটনায় বেশ কযেকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, জঙ্গল ছলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকার তিন নম্বর সমাজে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক আত্মীয় জানান, ভোরের আগে পাহাড় ধসে ঘরের ওপর পড়লে ভেতরে সবাই চাপা পড়েন।
এরমধ্যে একজন ঘরের বেড়া ভেঙে বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের খবর দিলে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই মাটি সরিয়ে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা, সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান ইউএনও।
সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, জঙ্গল ছলিমপুরের ছিন্নমূল তিন নম্বর সমাজ দুর্গম এলাকা। জঙ্গল ছলিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ওই এলাকায় যেতে হয়।
পেশায় রাজমিস্ত্রি রফিকুলের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন রাবেয়া আর তার দুই সন্তান। ওই পরিবারের আরও চার জনকে মাটি সরিয়ে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূইয়া জানান, জঙ্গল সলিমপুরের ওই দুর্গম এলাকায় পাহাড়ের খাস জমিতে বেশ কিছু বসতি গড়ে তোলা হয়েছে, এসব বসতিকে স্থানীয়ভাবে আলাদা আলাদা ‘সমাজ’নামে ভাগ করা হয়েছে। মূলত দরিদ্র বিভিন্ন পারিবার সেখানে থাকেন, যাদের একটি অংশ বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
ওই এলাকার তিন নম্বর সমাজের লক্ষণ সাহা শাখায় ভোরে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে