গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় আজমতউল্লাহ খান
মো. রবিউল ইসলাম ও আবু ছালেহ মুছা বাবু,টঙ্গী : গাজীপুর সিটি করপোরেশন এক সময় আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করায় এ নগরীকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ বলা হতো। এ সিটিতে নির্বাচন হতে প্রায় ৮-৯ মাস সময় থাকলেও এ্যাড.আজমতউল্লাহ খান যেন গাজীপুর সিটি মেয়র। এমন আলোচনার ঝড় গোটা নগরীতে বিরাজ করতে দেখা গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্বাচনী আইনে ২০১৮ সালের মার্চ-এপ্রিলর দিকে এ সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এর মধ্যেই গাজীপুর নগরীর ওলি-গলিতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চায়ের দোকানের আড্ডা কেবল সিটি নির্বাচনকে ঘিরেই। ক্ষমতাসীন দলের সোনার হরিণের টিকিট কে পাচ্ছে এ নিয়েই চলছে নানা মতের নানা রকম জল্পনা কল্পনা। এখন পর্যন্ত গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ কাউকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মনোনীত করেনি। তবে দলীয় সূত্রে জানায়, ক্ষমতাসীন দলের সোনার মুকুট পেতে সবুজ সংকেত নাকি আজমতউল্লাহ খানের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে। বিএনপি থেকে বর্তমান নগরপিতা অধ্যাপক এম এ মান্নান প্রায় ২৭টির বেশি মামলা নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় কারাভোগের পর আবারো নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকছেন। গাজীপুর মহানগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে ঘুরে মাঠ পর্যায়ের এক জনমতজরিপে দেখা গেছে, সাবেক জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গী পৌরসভার তিনবারের মেয়র বর্তমান গাজীপুর মহানগর আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. আজমতউল্লাহ খানের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। জনমত জরিপে নেতাকর্মীরা জানায়, সিংহ পুরুষ মহান ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.আজমতউল্লাহ খান ছাড়া বিকল্প নেই সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হবার। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে রয়েছেন আজমতউল্লাহ খানএ দিকে ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনের বিদ্রোহ প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা ও গাজীপুর মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর আলম দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দারস্থ হচ্ছে বলে তার কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে জানা গেছে। তিনি গাজীপুর সিটি মেয়র নির্বাচনে আজমতউল্লাহ খানকে ছাড় দিতে নারাজ। অপর দিকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোয়ন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মো. কামরুল আহসান রাসেল সরকার। তিনি গাজীপুর সিটি নির্বাচনে যুবক সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এব্যপারে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর একজন আর্দশ সৈনিক হিসেবে তৃনমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি যার কারণে দলীয় মনোয়ন পাবার যোগ্য। মহানগর আ’লীগের এক প্রভাবশালী নেতা জানান, দলীয় মনোয়নের ব্যাপারে সিনিয়র জুনিয়রের কিছু ব্যাপার আছে। তবে মহানগর আ’লীগের সভাপতি আজমত ভাই ইতোমধ্যে দলীয় হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন। তারা নির্বাচনীয় প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মতামত, সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে অনেক আগে থেকেই আজমতউল্লাহ খান জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে গাজীপুরের রাজনৈতিক মহলে তার রয়েছে ভিন্ন পরিচিতি। গাজীপুরের প্রানপ্রিয় মানুষের কাছে আজও তার কোকিল কন্ঠের বক্তব্য দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে প্রিয়। ক্ষমতাসীন দলের মতামত অনুযায়ী তাকেই দেয়া হচ্ছে দলীয় মনোনয়নপত্র। জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থান দখল করেও তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। নগর আ’লীগের নেতাকর্মীদের মতে এ নগরীকে পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গাজীপুর সিটিতে এ্যাড.আজমতউল্লাহ খান হচ্ছে যোগ্য নেতা। নগরীর বর্তমান এক কাউন্সিলর জানান, আসছে আগামী সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করে এ্যাড. আজমতউল্লাহ খানকে দলীয় মনোয়ন দিলে নগরবাসি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে না এবং যোগ্য নেতা হিসেবে আজমত ভাই এর বিকল্প নেই। নির্বাচনীয় বিষয়ে মেয়র প্রার্থী এ্যাড.আজমতউল্লাহ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আ’লীগের একজন নিভর্রযোগ্য কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। একেবারেই তৃনমূল পর্যায় থেকে আজ আমার এ পর্যন্ত উঠে আসা। সংগঠন করতে গিয়ে আ’মীলীগ আমাকে টঙ্গী পৌর মেয়র নির্বাচনে তিনবার প্রার্থী করেছিলেন এবং আমি তিনবার টঙ্গী পৌরমেয়র জয়ী হয়েছি। তিনি বলেন, জনগণের যাতে কল্যাণ হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে গড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। মানুষের সেবারমান যাতে দ্বারগোড়ায় পৌছে দেয়া যায় সেদিক লক্ষ্য রেখে প্রধানমন্ত্রীর কথানুযায়ী কাজ করছি।