সরকারি চাকরীজীবীদের উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সরকারি চাকরীজীবীদের শুধু রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনকল্যাণে নিবেদিত হবার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন ও জনপ্রশাসন পদক-২০১৭ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। এবছর দুটি ক্যাটাগরিতে ১৪ জনকে পদক প্রদান করা হয়।তিনি বলেন, যেখানে যে দায়িত্ব প্রাপ্ত তাকে সেখানে ভাবতে হবে এটা আমার নিজের দায়িত্ব, কারণ এই দেশটা আমার। কাজেই দেশের মানুষের কল্যাণে আমাদের কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী খুলনার জেলা প্রশাসকের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, সেখানে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এবং আমাদের পুলিশ প্রশাসন এক দিনের বেতন দিয়ে একটি ফান্ড তৈরী করে তাদের কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা করেছেন। এই বিষয়টি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি বলবো-এতটা উদ্ভাবনী কাজ তারা করেছেন ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারাই এ ধরনের ফান্ড তৈরী করবেন সেখানে আমিও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে  কিছু অনুদান দেবো । যাতে করে তারা এই কর্মসূচি সফলভাবে করতে পারেন। শেখ হাসিনা এ সময় জাতির পিতার ভাষণের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘সমস্ত সরকারি কর্মচারিকেই আমি অনুরোধ করি যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন। যাদের অর্থে আজকে আমরা চলছি তাদের যেন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। যারা অন্যায় করবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করুন। কিন্তু সাবধান একটা নিরাপরাধ লোকের ওপর যেন অত্যাচার না হয়।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বায়ন এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ফলে একদিকে মানুষের আচরণ এবং রুচিতে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাসহ সবকিছু বদলে গেছে। তিনি বলেন, গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট এ পর্যন্ত ১৩১টি বিভিন্ন ধরণের উদ্ভাবন প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে পাঠিয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬৮টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং ৬৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নাধীন আছে। এগুলো কিন্তু আপনাদেরই উদ্ভাবিত ধারণা ।

সরকারি কাজের জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবন করার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১২ সাল থেকে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট নামে একটি আলাদা শাখা খোলা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিয়মিতভাবে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করে সরকারি কর্মচারিদের পদোন্নতি প্রদান করছি। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ২০১৫ সালের পে-স্কেলে ১২২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।