পরিবার পরিকল্পনাকে মিশন ও ভিশনের মাধ্যমে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছাতে হবে -যুগ্ম-সচিব কুতুব উদ্দিন
চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ):
পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ও যুগ্ম-সচিব কুতুব উদ্দিন বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনাকে মিশন ও ভিশনের মাধ্যমে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছাতে হবে। পরিবার পরিকল্পনায় কাংখিত অর্জনের জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এর জন্য মাঠকর্মীদের রুটিন মাফিক নিয়মিত মাঠে থেকে কাজ করার বিধান রাখা হয়েছে। কর্মরত অবস্থায় সব মাঠকর্মীদের এপ্রোন ব্যবহার করে সেবা প্রদানের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা আন্তরিকতার সাথে করলে শিশু মৃত্যু হার আরো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। মানুষের মৌলিক অধিকারসমুহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই এ দেশ উন্নত দেশের তালিকায় লিপিবদ্ধ হবে। ছাতক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনায় সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে ৪র্থ বারের মতো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় মঙ্গলবার দুপুরে ছাতক হাসপাতালের মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের দেয়া সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উল¬াহ খানের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সিন্টু কুমার দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, পরিবার পরিকল্পনা সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মোজ্জাম্মেল হক, ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান, ডাঃ রাজিব চক্রবর্ত্তী, ডাঃ শহিদুল ইসলাম, দোয়ারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিপন কান্তি দাস, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত। বক্ত্য রাখেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কর্মকর্তা কৃষ্ণদাস রায়, এসএসকেএস পরিচালিত সূয্যের হাসি ক্লিনিকের পরিচালক স্বপ্না বেগম, পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী শামছুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা সহায়িকা জুবেরা বেগম, প্রতিভা রানী তালুকদার প্রমুখ। সভায় স্বগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী রাজীব মোস্তাফা। সভার শুরুতে পরিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন অফিস সহকারী মোজাফফর হোসেন, গীতা পাঠ করেন পরিদর্শক আশিষ কান্তি সামন্ত। এর আগে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এসময় মাঠকর্মীদের কাছে মাঠ পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। কাজের সঠিত তথ্য উপস্থাপনে মাঠকর্মীরা ব্যর্থ হলে সচিব চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।