২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে নতুন খাল খননের পাশাপাশি পুরনো খাল খনন ও জলাধার সংরক্ষণের উদ্যোগের কথা বলেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগর সভ্যতার ক্রমবিকাশ এবং প্রযুক্তিগত ভিন্নতায় পানি ব্যবহারের ধরন বদলেছে কিন্তু সুপেয় পানির প্রাপ্যতা হুমকিতেই রয়ে গেছে।
বিশ্বের ৪০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি সমস্যায় ভুগছেন উল্লেখ করে পানির অপচয় রোধ করে সুষ্ঠু ব্যবহারের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি'র ৬ নম্বর লক্ষ্যে বলা হয়েছে, সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের কথা। আর এই লক্ষ্য অর্জিত হলে এসডিজি লক্ষ্য দুই-ক্ষুধামুক্ত, তিন-সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, সাত-সাশ্রয়ী ও দুষণমুক্ত জ্বালানি, নয়- শিল্প উদ্ভাবন ও অবকাঠামো, এগারো-নগর ও জনপথ, তের-জলবায়ু কার্যক্রম এবং চৌদ্দ নম্বর লক্ষ্য জলজ-জীবন অর্জন করা সহজ হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এবারের আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে পানিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী ভাষণে বিশ্বের পানির অবস্থান, ব্যবহার, সংকট এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে এরই মধ্যে দেশের ৮৭ ভাগ মানুষের মধ্যে নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে পেরেছে তার নেতৃত্বের সরকার। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এর হার শতভাগে নিয়ে যেতে চান তিনি।
আর এ লক্ষ্য অর্জনে রাজধানী ঢাকায় নতুন নতুন খাল খননের পাশাপাশি পুরনো খাল সংস্কার এবং জলাধার সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পানি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার জন্য একশো বছর মেয়াদি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের ২৮টি দেশের কয়েকশো সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, পানি বিশেষজ্ঞ, গবেষক, শিক্ষক ও বিশিষ্টজনেরা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।