সংশোধন হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা
সংশোধন হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা— দণ্ড কমিয়ে অপরাধ জামিনযোগ্য করে এ ধারায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯ ধারায়।
আগামী সপ্তাহেই খসড়া চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। ৫৭ ধারা সংশোধন হলেও তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায় হবে বলে আশংকা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের। এতে শুধু গণমাধ্যমই নয়, যেকোনও মানুষের মুক্ত চিন্তা বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
গত দুই বছরে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শতাধিক মামলা হয়েছে। এ তথ্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রের। গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য ৫৭ ধারায় যেসব মামলা হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করতেই ওই ধারার প্রয়োগ সাংবাদিকদের ওপরে করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
এই ধারা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বির্তকের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ৫৭ ধারাকে যুক্ত করতে চাচ্ছে নতুন হতে যাওয়া ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে।
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাহফুজ আনামের মতে, যেকোনও আইনেই হোক ওই ধারা বহাল থাকলে সংবাদপত্র, সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য প্রকাশেরও স্বাধীনতা থাকবে না।
এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক।
আর ব্যারিস্টার তানজিব উল আলমের মতে, আইনটি চূড়ান্ত করার আগে আরও যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার উদ্ধুদ্ধ হতে পারে সম্ভাবনা থাকে এমন শব্দ পরিবর্তন করে শাস্তির মেয়াদ ১৪ বছরের পরিবর্তে ২ বছর করা হয়েছে। অপরাধ জামিনযোগ্য রাখা হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়ে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।
তবে মানুষের বাক স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হয়, গণমাধ্যমের মত প্রকাশের জায়গা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনও বিষয় নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯ ধারায় থাকছে না বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।
এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়া কথা রয়েছে।