বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রে জিয়ার সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে
বঙ্গবন্ধুর হত্যা ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের মধ্যে জেনারেল জিয়ার সংশ্লিষ্টতারও তথ্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ফারুক-রশীদ চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ, মোশতাকের প্রতি সমর্থনসহ তার নানা তৎপরতার নজিরগুলো সামনে আনেন বিশ্লেষকরা।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পূর্বাপর সংঘটিত হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের ভেতর-বাহির নিয়ে সৈকত সাদিকের প্রতিবেদন।
পঁচাত্তরের হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের পরিস্থিতির মধ্যে তখন জিয়াউর রহমান ছিলেন সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান। সেনাপ্রধান ছিলেন কে এম সফিউল্লাহ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড-উত্তর মোশতাক সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে জিয়ার ছিলো পূর্ণ সমর্থন। ওই পথেই জিয়ার সেনাপ্রধান হওয়া, রাজনীতিতে আসা এবং একসময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের ঘটনাক্রম।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তিন বছরের মাথায় একজন সেনা কর্মকর্তার এত দ্রুত উত্থান পর্যালোচনায় সবসময়ই উঠে আসে কুচক্রী মোশতাক ও ফারুক-রশীদের নেতৃত্বাধীন খুনিচক্রের জিয়াউর রহমানের কী যোগসাজশ ছিল সেই আলোচনা।
বিশ্লেষক মহিউদ্দিন বলেন, সেনাবাহিনীতে প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
তবে এতবড় ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে শুধু জিয়া একা জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি করেন এ গবেষকের।
জিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের যে যোগাযোগ ছিলো তা বেরিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা দলিলেও বলে জানান মিজানুর রহমান।
তবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করতে আরো বেশি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।