ট্রেনের পঞ্চম-শেষ দিনের টিকিট বিক্রি চলছে, হতাশ বাস মালিকরা
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মঙ্গলবার ঈদে ট্রেনের পঞ্চম ও শেষ দিনের টিকিট বিক্রি চলছে।
স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কেটেছেন যাত্রীরা।
অনেকে আবার টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছেন, টিকিটের স্বল্পতা থাকায় সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো জানান, এক সেপ্টেম্বরের টিকিট বুধবার পাওয়া যাবে।
এদিকে, কয়েকটি রুটে যাত্রী না থাকায় বেশ হতাশ বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ৩১ আগস্টের আগাম টিকিট দেয়া হয়। এ দিনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই সকাল থেকে কাউন্টারের সামনে উপচে পড়া ভীড় ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের। গত চার দিনের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় ছিলো।
সকালে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন যাত্রীরা। তবে কিছু যাত্রী সময় অতিবাহিত হওয়ার পর চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ায় হতাশ প্রকাশ করেন তারা। কেউ কেউ ১৮ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পেয়েছেন কাঙ্খিত টিকিট।
লাইনে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ করে যাত্রীরা বলেন, অব্যবস্থাপনার কারণে পেছনের লোকেরা আগে টিকিট কেটেছেন।
কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, টিকিটের চাহিদা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। এত টিকিট দেয়া সম্ভব নয়। তবে যাত্রার দিন স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়া হবে। এছাড়া, এক সেপ্টম্বরের টিকিট আগামী কাল পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রামা ও ঢাকা-যশোর রুটে বাসের যাত্রীর ভীড় না থাকায় হাতাশ বাস কর্তৃপক্ষ। আর অগ্রীম টিকিট দিতে শুরু করেছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।