উত্তর-মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে— পানি কমতে থাকায় বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে বাড়িঘর নষ্ট হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ঘরে ফেরা মানুষজন। এদিকে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী-ভাঙ্গন।
রংপুর :
রংপুরের তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরে নদী ভাঙ্গনে বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ফসল তলিয়ে থাকায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষক।
দিনাজপুর :
দিনাজপুরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে বন্যায় বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
আর ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পুণর্বাসনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি নেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বেশিরভাগ পরিবার বাড়ি ফিরে গেলেও অনেকে এখনো উঁচু বাঁধ ও পাকা সড়কে বাস করছেন। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
টাঙ্গাইল :
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে এই নদীর পানি। বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন পানিবন্দি সাত উপজেলার এক লাখেরও বেশি মানুষ। ডায়রিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
জামালপুর :
জামালপুরেও যমুনার পানি কমেছে তবে কমেনি দুই লাখ মানুষের দুর্ভোগ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দিন পার করছেন তারা। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে ৭৭টি মেডিক্যাল টিম।
বন্যায় ১০ হাজার পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় ৫৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
মৌলভীবাজার :
মৌলভীবাজারের হাকালুকি ও কাওয়ারদীঘি হাওরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দুই শতাধিক গ্রামের পানিবন্দি লাখো মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।