সরেজমিন প্রতিবেদন পর্ব - ০১ ফেনীতে মালিক সমিতির টোকেন বানিজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনুমোদনহীন সিএনজি
বেশীরভাগ চালকদের নাই লাইসেন্স। এম. রফিকুল ইসলাম (চট্টগ্রাম) : ফেনীতে মালিক সমিতির স্টীকারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনুমোদনহীন সিএনজি। এসব সিএনজির নেই কোন প্রকার পারমিট ও বিআরটিএর কোন ছাড়পত্র। তবুও বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে মহিপাল হতে নোয়াখালী সড়কে বহাল তবিয়তে চলছে ছয় শতাধীকেরও বেশী অনুমোদনহীন সিএনজি। কিন্তু অনুমোদনহীন সিএনজি মালিক ও চালকরা স্থানীয় একটি মহলকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে যেখানে খুশি সেখানে। যেন দেখার কেউ নেই। অবিভাবকহীন নগরে সকাল থেকে অবৈধ সিএনজি চালিত গাড়ী গুলো দেখা যায় অনেক বেশি। এসব গাড়ী লোকাল যাত্রির পাশা-পাশি মাদকের চালান সরবরহ করে থাকে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে লোকল যাত্রি উঠিয়ে ছিনতাইকারীদের কবলে ঠেলে দেয় এসব ভয়ঙ্কর চালকরা। সূত্রে জানিয়েছে, ফেনীতে অধিকাংশ সিএনজি চালকরা গ্যরেজ মালিকদের ম্যানেজকরে সন্ধ্যার পর গাড়ী চালায়। সবার মুখে মুখে প্রচালিত সিএনজি চালকরা খুবই বেপরোয়া । বেশিীরভাগ ড্রাইভারদের বয়স অনেক কম। পাশাপাশি তাদের কারো কাছে নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। অবৈধ চালকদের কার্মকান্ডে বৈধ চালকরা বিভিন্ন জটিলতায় পরেণ। এজন্য অনেক চালক ক্ষোভ প্রকাশ করেণ। সরেজমিনে দেখা গেছে, রুট পারমিট না থাকা সত্ত্বেও কোন যাদুবলে চলছে ফেনীর রাস্তায়। এমন প্রশ্নে সটকে পড়লেন এক চালক। কিন্তু অন্যএক চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মহিপাল সিএনজি মালিক সমিতির টোকেনের মাধ্যমে বোঝাপড়া করেই চালাচ্ছেন এসব সিএনজি। আবার কেউ কেউ এমন প্রভাশালীদের ছায়ায় আছেন যে, প্রতিদিন সকালে অফিসে নামিয়ে দিয়ে আসার বিনিময়ে পুলিশে ধরলে তার নাম বলেন। এতে কাজও হয়, ছেড়ে দেয় পুলিশ। তাদের মধ্যে এক চালক জানালেন, প্রতি মাসে মালিক সমিতির টোকেনের মাধ্যমে ফেনীর মহিপাল থেকে ছুটে চলে মহিপাল - নোয়াখালী সড়কে। অল্প বয়স্ক ড্রাইভারদের বেপোরোয়াভাবে গাড়ী চালানোর ধরুন হারহামেশাই দূঘটনার স্বীকার হচ্ছে যাত্রীরা। এ সকল ড্রাইভারদের সাথে যাত্রীরা কথা বল্লেই শুনতে হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম। ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সামনেই এ সকল সিএনজি গুলো চলাচল করলেও তারা যেন এ ধরনের অনুমোদনহীন সিএনজি সর্ম্পকে কিছুই জানে না। অবশ্য এসব বিষয়ে ফেনী জেলা টিআই প্রশাসক মীর গোলাম ফারুক জানান, আমরা এসকল গাড়ীগুলো প্রায়শই আটক করি এবং সিএনজি গুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গাড়ীর মালিক পক্ষ জরিমানা দিয়ে মামলা তুলে নিয়ে আবারও রাস্তায় নেমে পড়ে। টোকেন বানিজ্যের বিষয়ে ফেনী পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন আমাদের পুলিশ ও পুলিশের কোন কর্মকর্তা এ ধরনের কোন কাজে জড়িত নয়, আর যদি কোন রকম প্রমান পাওয়া যায়, তখন তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুমোদনহীন সিএনজি ও টোকেন বানিজ্যের বিষয়ে ফেনী বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী ও মটরযান পরিদর্শক মাহবুব রাব্বানী জানায়,কে বা কারা টোকেনের মাধ্যমে এসকল গাড়ী চাল্লাচ্ছে তা আমরা অবগত নই। কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ সকল অনুমোদনহীন সিএনজি গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান করে থাকি এবং মামলা দিয়ে থাকি তারপরেও এ গাড়ী গুলোর বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। টোকেনের সন্ধান : আমাদের প্রতিবেদক অনুমোদন সিএনজি গুলোর বিষয়ে খবর নিয়ে জানতে পারে ফেনীর মহিপালে সিএনজি মালিক সমিতির দেয়া টোকেন গুলো জাহাঙ্গীর ও হানিফের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।গতকাল দুপুরে জাহাঙ্গীর ও হানিফের মুঠোফোনে কথা হলে জাহাঙ্গীর জানায়, মহিপাল সিএনজি স্ট্যান্ডে হানিফের কাছে গেলে টোকেন পাওয়া যাবে। হানিফের মুঠোফোনে কথা হলে হানিফ জানায়, প্রতিটি গাড়ী প্রথমবা লাইনে ঢুকতে হলে ১/২ হাজার টাকা দিতে হয় এবং প্রতি সিএনজির জন্য মাসিক ৫০০ টাকা করে দিলে টোকেন পাওয়া যাবে। হানিফের কাছে আমরা জানতে চাই যে, ট্রাফিক পুলিশ যদি ঝামেলা করে, তখন হানিফ জানায় আমাদের টোকেন থাকলে কোন প্রকার ঝামেলা হবে না।