দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হয়ে সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জকে ঢেলে সাজাবো -ব্যারিস্টার মোকছেদুল

শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
আগামী সংসদ নির্বাচনে হাওয়া বইতে শুরু করেছে নীলফামারীতে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টন নিয়ে যেমন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তেমনি অনেকে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের কথা প্রকাশ করেছেন। এখনও গণসংযোগ শুরু করেনি। সংবাদ সম্মেলন পোষ্টার ও শুভেচ্ছার মধ্যেই সীমাবদ্ধতা রেখেছেন। কিন্তু নীলফামারী-৪ সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম পুরোদমে গণসংযোগ নিয়ে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। সৈয়দপুর আর কিশোরগঞ্জে সমান তালে চলছে গনসংযোগ। এর মধ্যে তিনি আলোচনা সভা, মতবিনিময় সভা, কুশল বিনিময়, সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন। তাছাড়া সাধারণ মানুষের ভাল মন্দের খোঁজ খবর রাখছেন। কিছু দিন আগে হয়ে যাওয়া বন্যায় তিনি ঢাকায় ব্যস্ত থাকলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এবং বানভাসিদের তার প্রতিনিধির মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতে ব্যস্ত থাকলেও সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মোবাইলে সার্বক্ষনিক খবরা খবর নিয়েছেন। পরবর্তীতে এলাকায় এসে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। একজন সংসদ সদস্য হলে যা যা দরকার তার সবই আছে। ব্যারিস্টার মোকছেদুল মানুষের সাথে কথা বলে সহজেই আপন করে ফেলেন। তার মধ্যে কোন অহংকার নেই। তিনি সহজ সরল মনের মানুষ। তার মিষ্টি কথায় অনেকে তার ভক্ত হয়ে পড়েছে। ন¤œ, ভদ্র, সুশিক্ষিত, ব্যারিস্টার মোকছেদুলকে যদি আমরা চিনতে না পারি তাহলে হবে আমাদের দূভার্গ্যরে। তিনি মানুষের কথা বলেন, তিনি উন্নয়নের কথা বলেন, তিনি মানুষের সেবার কথা বলেন, গণসংযোগের পাশাপাশি তিনি দলীয় নেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ব্যারিস্টার যদি মনোনয়ন পান তাহলে কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুরবাসী হবেন সৌভাগ্যবান। দিন যতই যাচ্ছে তার জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে। ব্যারিস্টারের গণসংযোগ ও তাঁর কর্মীদের কার্যক্রম নিয়ে দুটি উপজেলায় জরিপ চালায় এ প্রতিবেদক। জরিপে কিশোরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নে জরিপে অধিকাংশ ভোটাররা চায় নতুন মুখ, সুশিক্ষিত, যোগ্যব্যক্তি ও যে সংসদে কথা বলতে পারবে। সে হিসাবে ব্যারিস্টারের কোন তুলনা নেই। সব দিক দিয়ে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। দেখা যাক ভোটাররা কে কি বলছেন। সৈয়দপুর পৌরসভার বাঁশবাড়ী মহল্লার তাওফিক জানান, ব্যারিস্টার মনোনয়ন পেলে নিশ্চিত জয় পাবেন। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। গোলাহাট এলাকার সোনিয়া জানান, ব্যারিস্টারের অনেক নাম শুনেছি। তিনি প্রার্থী হলে তাকে ভোট দেবো। ইসলামবাগ এলাকার লিলি জানান, দল বুঝি না যদি তিনি প্রার্থী হন তাহলে সকলে মিলে তার কাজ করব। বাবুপাড়া এলাকার সারফারাজ জানান, ব্যারিস্টারকে দেখেছি লোকটা খুব ভালো। কথা বলার যোগ্যতা ও মানুষের সেবা করার ইচ্ছা আছে। এরকম লোককে নির্বাচিত করা দরকার। অবাঙ্গালী কয়েকটি ক্যাম্পের কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যারিস্টার সাহেব আমাদের এলাকার লোক। তিনি প্রার্থী হলে আমরা কোন ভেদাভেদ রাখব না। তাকেই ভোট দিব। এদিকে কামারপুকুর ্ইউনিয়নের দলুয়া, নিয়ামতপুর, আইসঢাল, একাধিক গ্রাম ঘুরে একই কথা শুনা যায়। এছাড়া খাতামধুপুর ও কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ভোটারা বলছে ব্যারিস্টার আমাদের এলাকার লোক। তিনি প্রার্থী হলে তাকেই নির্বাচিত করব এবং তাকেই প্রার্থী হিসাবে দেখতে চাই। বাঙ্গালীপুর ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ব্যারিস্টাকে অনেকে চাচ্ছেন প্রার্থী হিসাবে আবার অনেকে বলছেন যদি নৌকা পায় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আবার কিশোরগঞ্জে তো আওয়াজ শুরু হয়েছে ব্যারিস্টারকে প্রার্থী হিসাবে চাই। চাঁদখানা, নয়ানখাল, বাহাগীলি ও গ্রাড়াগ্রাম মাগুড়া ইউনিয়ন ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ব্যারিস্টার মোকছেদুলকে দেখতে চায়। ব্যারিস্টার প্রার্থী হলে দল মত নিবিশেষে তাকে নির্বাচিত করবেন বলে মতামত ব্যক্ত করেন। বর্তমান জরিপে ব্যারিস্টার মোকছেদুল অনেক এগিয়ে রয়েছেন। নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ও কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নির্বাহী সদস্য সুপ্রিমকোট হাই কোটের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ধোকাবাজী ও গরীব মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। রাজনীতি করব সাধারণ মানুষের সেবার মনোভাব নিয়ে ও মানুষের কল্যাণের জন্য। যদি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হই তাহলে সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জকে ঢেলে সাজাবো। রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজ মাদ্রাসাসহ সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণে গুরুত্ব দিব। বেকারত্ব দূরীকরনের উদ্যেগ গ্রহন করব। মাদক জুয়া থেকে যুবক সমাজকে রক্ষা করব। সৈয়দপুরও কিশোরগঞ্জকে ডিজিটালে রুপান্তরিত করব। এজন্য চাই সকলের সহযোগীতা। তিনি আরো বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু আদর্শের একজন সৈনিক। আজীবন মানুষের সেবা করতে চাই। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করতে চাই।