নাফ নদী থেকে ১৬ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার
নাফ নদীর হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট থেকে শুক্রবার ভোরে ১৬ জনের মরদেহ
উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি মো. মাইনউদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, তিন জন নারী এবং দুইজন শিশু রয়েছে।
ওসি বলেন, স্থানীয়রা নদীতে মরদেহ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ হোয়াইক্যংয়ের ঝিমংখালী পয়েন্ট থেকে ১৫ জন এবং শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েকটি মৃতদেহ থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে— মনে হচ্ছে, দুই-তিন দিন আগে তাদের হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয়া হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এর আগের দুই দিনে নাফ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৩ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে বুধবার নাফ নদী থেকে নৌকাডুবির ঘটনায় চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মাঝেরপাড়া পয়েন্ট থেকে ১০ জন শিশু এবং নয় নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়দের ধারণা।
গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল শুরু হয়।
শরীরে গুলি পোড়া ক্ষত নিয়ে চট্টগ্রামে মেডিকেলে ভর্তি আছেন বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।