অস্ত্রবিরতির ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমার সরকার
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহীদের ঘোষিত একমাসের অস্ত্রবিরতি দেশটির সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচির মুখপাত্র একটি টুইটবার্তায় বলেন যে সরকার 'সন্ত্রাসীদের' সাথে কোন মধ্যস্থতা করবে না।
রোববার থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান বিদ্রোহীরা একতরফা ভাবেই এক মাসের জন্য অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয়।
এক বিবৃতিতে বিদ্রোহীরা বলছে, তারা রাখাইনে মানবিক সংকট বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তারা আশা করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও সেখানে অস্ত্রবিরতি করবে।
আরসা বা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি শনিবার দেয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে অস্ত্রবিরতির এই ঘোষণা দেয়।
গত ২৪ আগস্ট পুলিশের উপর এই আরসার চালানো হামলার প্রতিক্রিয়াতেই রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হয়, যার কারণে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
শরণার্থীর স্রোত এখনো অব্যাহত আছে— বহু রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন সীমান্তের দুপাড় জুড়েই তৈরি হয়েছে এক মানবিক পরিস্থিতি।
এরকম পরিস্থিতিতেই আরসা'র তরফ থেকে একতরফাভাবে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা করা হয়েছে।
তারা সাহায্যকারী সংস্থাগুলোতে রাখাইন এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করবারও আহ্বান জানায়।
অবশ্য রাখাইনের সহিংসতা প্রসঙ্গে মিয়ানমারের সরকারের বক্তব্য তাদের ভাষায়, রোহিঙ্গা জঙ্গি এবং মুসলমান গ্রামবাসীরা নিজেরাই নিজেদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং অমুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
এদের অনেকেই সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু বিবিসির একজন সংবাদদাতা গত বৃহস্পতিবার রাখাইনে গিয়ে দেখেছেন সেখানে একটি মুসলমান গ্রাম জ্বলছে, যেটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে রাখাইনের একদল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
এই ঘটনাটি রাখাইনে চলমান সহিংসতা সম্পর্কে মিয়ানমারের সরকারি বক্তব্যের সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।