জয়পুরহাটে চালের বাজার উর্ধগতি-তদারকি নেই-প্রশাসনের।
মো:নাহিদ আখতার:জয়পুরহাট:- সারাদেশের মতো জয়পুরহাট চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার জয়পুরহাট নতুনহাট,পূর্ব বাজার,আমতলি চাল আড়ৎতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত এক সপ্তাহে সব ধরনের চাল কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে জয়পুরহাট বাজারে।
গত সপ্তাহে যেখানে জয়পুরহাট বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাল ছিল ৫৫ টাকা,হাইব্রিড-৪০,এলসি-৪৫,মিনি
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চাল ব্যবসায়ী জানান-মুলত জয়পুরহাটে চাল আসে নঁওগা, যশোর ও কুষ্টিয়া আড়ৎ থেকে। গত মাসে কুষ্টিয়া এক চালের আড়ৎতে ভ্রামমান আদালত পরিচালনা ও জরিমানা করার পর থেকে মুলত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের মুল্য বৃদ্ধি করছে আড়ৎদারগন।এর সাথে সরকার দলীয় কিছু নেতা ও সরকারী কর্মকর্তাও জড়িত।
এদিকে খাদ্যমন্ত্রী জানান দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে এবং মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানি করা হবে।মন্ত্রীর এ কথার সাথে এক মত পোষন করতে নারাজ জয়পুরহাটের চাল ব্যবসায়ীরা।তাদের মতে খাদ্যমন্ত্রীর চাল মজুতের কথার সাথে বাস্তবের কোন মিল নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঐ ব্যবসায়ী জানান-দেশে চাল মজুত না থাকলেও চালের মুল্যবৃদ্ধি করছে মুলত একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে জড়িত আছে সরকার দলীয় কিছু নেতা, অসাধু বড় চাল ব্যবসায়ী ও সরকারি কিছু কর্মকর্তা। তাই ইচ্ছা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না।
বাজার কমিটি জানায় -জয়পুরহাটে চালের বাজার অস্থির হলেও আজ পর্যন্ত কোন সরকারী প্রশাসন বাজার পরিদর্শন বা তদারকী করতে আসে নাই। তারা অফিসে বসেই তাদের ইচ্ছামতো রিপোর্ট দেয় সরকারকে এবং ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমেও তাদের ম্যানেজ করছে কিছু চাল কল মালিক ও বড় বড় চাল আড়ৎদারগন বলেও জানান তিনি।
ঐ ব্যবসায়ীর মতে সরকার যদি এসব চাল ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয় এবং নিয়মিত চাল বাজার সরকারী প্রশাসন পরির্দশন ও তদারকি করে তাহলে চালের এ উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।