১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জলাবদ্ধতা নিরসন না করে যেন আমার মৃত্যু না হয়
অাবু জাহেদ ফয়সাল (চট্টগ্রাম) চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত কর্ণফুলীর তীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ ও খাল খনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প সমুহের বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষে প্রকল্প আওতাভুক্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণের সাথে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক পরিচালনা করছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
তারই ধারাবাহিকতার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ বোর্ড সদস্য কেবিএম শাহজাহান। হাজি মুসলিম খান সওদাগরের বাড়ীর উঠানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মান্নান ও জসিম উদ্দিন।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আজিজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সকল সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমাদের সবাইকে একটু ধর্য্য ধারণ করতে হবে। একদিনে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার দৃশ্যমান পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন। সবাই দোয়া করবেন, যেন জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না করে আল্লাহ আমার মৃত্যু না করেন।
তিনি বলেন, বাকলিয়াবাসী অত্যান্ত সরল-সহজ মানুষ। এ সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই বাকলিয়াবাসিদের বার বার ধোঁকা দিয়েছে। আমি সে ধোঁকার রাজনীতি করি না। আমি কথা কম বলি, কাজ করি বেশি। তার প্রমাণ আপনারা ইতিমধ্যে পেয়েছেন। আল্লাহর রহমতে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজেও সেটার প্রমাণ পাবেন।
চট্টগ্রাম অভিবাবকহীন নয় জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাধাগ্রস্থ করতে ইতিমধ্যে ভূমিদস্যুরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যা কোনভাবেই চট্টগ্রামাবাসীর জন্য কার্ম্য নয়। ভূমিদস্যুদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। চট্টগ্রাম অভিভাবকহীন নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোদ চট্টগ্রামের অভিভাবক। তিনি জলাবদ্ধতার প্রকপ দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।